• ‘প্রাক্তন’ কাঁটায় বিদ্ধ লালুর পরিবার, মা রাবড়িকে হারানো নেতার বিরুদ্ধে ভরাডুবির পথে তেজস্বীও
    প্রতিদিন | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেড় দশকের ব্যবধান। কিন্তু লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারে ‘ধাক্কা’ দেওয়ার ট্র্যাডিশন ধরে রেখেছেন তিনি-সতীশ কুমার যাদব। ১৫ বছর আগে রাবড়ি দেবীকে পরাস্ত করেছিলেন, এবার তেজস্বী যাদবের বিধায়ক হওয়ার স্বপ্নে জল ঢেলে দিতে চলেছেন। লালু পরিবারের অ্যাকিলিস হিল হয়ে উঠেছেন আরজেডিরই প্রাক্তন নেতা। ঠিক সময়ে দল বদলে ফেলার ‘বিচক্ষণতা’ও রয়েছে তাঁর।

    ১৫ বছর আগে ২০১০ বিধানসভা নির্বাচনে রাঘোপুরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল আরজেডির। দলীয় গড়েই হেরে গিয়েছিলেন দলের ফার্স্ট লেডি রাবড়ি দেবী। সেবার জেডিইউর টিকিটে লড়েছিলেন সতীশ। ১৩ হাজার ভোটে পরাস্ত করেছিলেন লালুপত্নীকে। ২০২৫ সালে আবারও সেই রাঘোপুরেই হারের মুখে দাঁড়িয়ে লালুপুত্র তেজস্বী। এবার তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপির টিকিটে লড়া সতীশ। দল বদলে ফেললেও লালুগড়ে ভাঙন ধরানোর ইতিহাস বদলাননি এই ‘চাষি’।

    রাজনৈতিক জীবনের শুরুটা অবশ্য লালুর হাত ধরেই করেছিলেন সতীশ। দীর্ঘ ১৫ বছর আরজেডিতে কাজ করেছেন। তবে নির্বাচনী রাজনীতি সাফল্য পাওয়া শুরু হয় সতীশের জেডিইউ জমানা থেকে। ২০০৫ সালে নীতীশ কুমারের দলে যোগ দেন সতীশ। পাঁচ বছর পরেই রাঘোপুরে টিকিট পান, রাবড়ি দেবীর মতো হেভিওয়েট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে সকলকে চমকে দিয়ে জিতে নেন ১৩ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে।

    কিন্তু ২০১৫ সালে আরজেডি-জেডিইউ জোট হয়ে গিয়ে রাঘোপুর আসনটি চলে যায় লালুর দলের হাতে। তখন জেডিইউ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন সতীশ। রাঘোপুর থেকে প্রার্থীও হন। কিন্তু ওই আসন থেকে জেতেন লালুপুত্র তেজস্বী। ওই কেন্দ্র পরপর দু’বার লড়েও হারতে হয়েছে সতীশকে। তবে তৃতীয়বার পাশা পালটে দিচ্ছেন বিজেপি নেতা। এবার আর তেজস্বীর কাছে হার নয়, বরং মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে হারানোর ‘অহংকার’ থাকতে পারে সতীশের সঙ্গে। অন্যদিকে, দলের প্রাক্তনের কাছে হেরে বিহার বিধানসভা থেকে মুছে যেতে বসেছে লালুপ্রসাদ যাদব পরিবারের নাম।
  • Link to this news (প্রতিদিন)