• বিহারে ফিকে লাল! ‘বাস্তবের প্রতিফলন নয়’, ফলাফল নিয়ে বলছে লিবারেশন
    প্রতিদিন | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • রমেন দাস: প্রত্যাশামতোই বিহার নির্বাচনের ফলাফলে গেরুয়া ঝড়। আর প্রত্যাশার ধারকাছ দিয়েও যেতে পারল না বিরোধী মহাগটবন্ধনের পারফরম্যান্স। কার্যত ধুলিসাৎ বিরোধী শিবির। তার মধ্যে অবশ্য কিছুটা আশা জাগাচ্ছে ‘লাল পার্টি।’ সিপিআই(এমএল) বা লিবারেশন বিহারে চারটি আসনে এগিয়েছিল। পালিগঞ্জ আসনে জিতেছে লিবারেশন। সিপিএম জয়ী বিভূতিপুর আসনে। যদিও চূড়ান্ত ফলাফল কী হবে, তার জন্য এখনও খানিকটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। তবে এই ফলাফল যে বাস্তব থেকে অনেকটা দূরে, তেমনটাই মনে করছেন লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। ফলাফল পর্যালোচনা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    শুক্রবার ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হতে না হতেই সংবাদসংস্থার মুখোমুখি হন সিপিআই(এমএল)-এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। ফলাফল নিয়ে তাঁর স্পষ্ট মত, ”এই রেজাল্ট একদম অবিশ্বাস্য। এটা বাস্তবের প্রতিফলন নয়। একটা সরকার দু’দশক ধরে সরকারে থাকার পর এমন ফল ব্যাখ্যা করার মতো নয়। এরকম ফলাফল হয়েছিল ২০১০ সালে, সেটা নীতীশ কুমারের গোড়ার দিক ছিল। তারপর এত জল গড়িয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালে আবার মোদি সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সেখানে দাঁড়িয়ে এই ফলাফল ব্যাখ্যা করা যাবে না সহজভাবে। এখানে আলাদা করে আরজেডি বা অন্য কারও ফল নিয়ে বলার নেই। সামগ্রিকভাবেই বিরোধীদের ফলাফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। আমাদের সব ভালো করে খতিয়ে দেখতে হবে। এসআইআরের কী প্রভাব পড়ল, তাও দেখতে হবে।”

    এদিন সকালে ভোটগণনা শুরুর পরই এসআইআর-কে দায়ী করেছিলেন দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, এসআইআরের পর ভোটার সংখ্যা ছিল ৭.৪২ কোটি। আর ভোট পরবর্তী হিসেব বলছে, ৭.৪৫ কোটির বেশি ভোট পড়েছে। এতটা বৃদ্ধি কোথা থেকে হল? প্রশ্ন তুলেছেন সিপিআই(এমএল) নেতা। ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটে লিবারেশন লড়াই করেছিল ১৯ টি আসনে, জয় পেয়েছিল ১২টিতে। এবছর সেই পারফরম্যান্সে বেশ কিছুটা অবনতি ঘটেছে। ২০ আসনে লড়ে মাত্র দুটিতে টিমটিম করে আশার দীপ জ্বালিয়ে রেখেছে। উপরন্তু নিজেদের শক্ত ঘুঁটি জিরাদেই আসনে হেরেছে সিপিআই(এমএল)।

    বিহারে লাল ‘ফিকে’ হয়েছে। বাংলায় কী ভবিতব্য? এই তুলনায় যেতে নারাজ দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। এই প্রশ্নের জবাবে সাফ বললেন, ”ওভাবে তুলনা করা যাবে না একেবারেই। বাংলায় অন্য সমীকরণ। আমরা সেখানে তৃতীয় শক্তি হিসেবে সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছি। যাতে বিজেপি সেখানে ক্ষমতা বিস্তার করতে না পারে।” উল্লেখ্য, দীপঙ্কর ভট্টাচার্য আগেও বঙ্গে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের জন্য শাসকদল তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এবার সরাসরি সেকথা উল্লেখ না করলেও বঙ্গে বিকল্প শক্তির কথা শোনা গেল তাঁর গলায়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)