সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে এবার জম্মুতে হানা। নজরে কাশ্মীর টাইমস সংবাদপত্রের অফিস। বৃহস্পতিবার কাশ্মীর টাইমসের অফিসে হানা দিয়েছে রাজ্যের তদন্ত সংস্থা। বিভিন্ন নথিপত্র এবং ডিজিটাল যন্ত্রের পাশাপাশি, একে রাইফেলের কার্তুজ এবং পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে সংবাদপত্রের অফিস থেকে।
জানা গিয়েছে, দিল্লির লাল কেল্লায় গাড়ি বিস্ফোরণ এবং জইশ-ই-মহম্মদের ‘ডাক্তার জঙ্গি’ নেটওয়ার্কের তদন্তে বৃহস্পতিবার জম্মুর রেসিডেন্সি রোডে কাশ্মীর টাইমস সংবাদপত্রের অফিসে তল্লাশি চালায় রাজ্য তদন্ত সংস্থা (এসআইএ)। আধিকারিকরা যে সম্প্রতি সংবাদপত্রটির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করা হয়েছে। এই এফআইআর-এর কারণেই তল্লাশি চালানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই সংবাদপত্রে দেশবিরোধী লেখা ছাপা হয়েছে। তল্লাশি অভিযানে রাইফেলের কার্তুজ, কিছু পিস্তল এবং হ্যান্ড গ্রেনেডের পিন সহ অন্যান্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে। সংবাদ সংস্থার আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে তারা জানিয়েছে তল্লাশি অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর সিং চৌধুরী বলেন, কেবলমাত্র সেই ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত যেখানে অন্যায় প্রমাণিত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কাশ্মীর টাইমসের অফিসে থাকা নথি এবং ডিজিটাল ডিভাইসগুলিতে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা অবলুপ্তির পরে কাশ্মীর টাইমসের সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন ২০১৯ সালে ইন্টারনেটের উপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার কাশ্মীর টাইমস কর্তৃপক্ষ তাদের জম্মু অফিসে অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেছে। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, এই অভিযোগগুলি একটি স্বাধীন মিডিয়া প্রতিষ্ঠানকে দমন করার প্রচেষ্টা।
যদিও, কাশ্মীর টাইমসের বিরুদ্ধে এটাই প্রথম তদন্ত নয়। এর আগেও ‘দেশবিরোধী লেখা’ প্রকাশের অভিযোগে এই সংবাদপত্রের অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। শ্রীনগরের প্রেস এনক্লেভে অবস্থিত অফিসটি ২০২০ সালে অল্প সময়ের জন্য সিল করে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, গত কয়েক মাস ধরে পত্রিকাটি বিক্রি হচ্ছিল না।
উল্লেখ্য, দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে। তদন্তে নেমে শ্রীনগর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা বেশিরভাগই কাশ্মীরের। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের দুই ষড়যন্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। পাশাপাশি, তদন্তকারীদের স্ক্যানারে রয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ও। একে একে সামনে আসছে দেশে ছড়িয়ে থাকা ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর ভয়াবহ তথ্য। ঘটনার দিন হরিয়ানার ফরিদাবাদে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়া এবং সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারিতে ভয় পেয়ে গিয়ে তড়িঘড়ি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে উমর।