শুক্রবার, ভারতীয় সময়ে সকাল ১০টা ৯ মিনিট। হঠাৎ কম্পন অনুভব করলেন কলকাতা, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, নদিয়া-সহ একাধিক জেলার বাসিন্দারা। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এ দিন ভূমিকম্প অনুভূত হয় ঢাকাতেও। কলকাতার বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় তিন সেকেন্ড সময় ধরে তাঁরা কম্পন অনুভব করেছেন। এই কম্পনের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই কম্পনের উৎসস্থল বাংলাদেশ। শুক্রবার ভারতীয় সময়ে সকাল ১০টা ৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে এই ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৫.৭। কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতা-সহ বাংলার একাধিক জেলায়।
ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (USGS)-এর তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বাংলাদেশের নরসিংদী থেকে ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। যদিও এই সংস্থা দাবি করেছে, কম্পনের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৫.৫। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরও জানিয়েছে, কম্পনের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৭।
কলকাতার শোভাবাজার এলাকার এক বাসিন্দা অমল রায়ের দাবি, ‘সকাল ১০টা ৯ মিনিটে হঠাৎ মাথাটা ঘুরতে শুরু করে। আমি বাড়িতে চেয়ারে বসেছিলাম। প্রথমে মনে করেছিলাম যে শরীর খারাপ হচ্ছে। পরে বুঝলাম বাড়ির পাখাও দুলছে। তখনই বুঝতে পারি যে ভূমিকম্প হচ্ছে।’ এ দিন সেক্টর ফাইভের বহুতলে অবস্থিত একাধিক অফিসের কর্মীরা কম্পন অনুভব করে রাস্তায় নেমে আসেন। এই কম্পনে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ওপার বাংলার ঢাকার পাশাপাশি চাঁদপুর, নীলফামারী,বগুড়া, বরিশাল, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালীতেও অনুভূত হয় কম্পন।