• সামনে মাধ্যমিক, বেয়াদপি না করে পড়তে বস! ফোন না দিয়ে মা বাজারে চলে যেতেই সিলিং থেকে অঙ্কনা...
    ২৪ ঘন্টা | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • সন্দীপ প্রামাণিক: ফের আত্মঘাতী এক পড়ুয়া। ঠাকুরপুকুর পোড়া অশ্বত্থতলার শিবাজী কলোনীতে মাধ্যমিক ছাত্রী আত্মঘাতী। একালার প্রতিবেশীরা যেমনটা জানান আজ সকালে ওই ছাত্রীর মা বাজারে যাচ্ছিলেন। তখন সে তার মায়ের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চায়। মা কোনওমতে ফোন দেননি। এবং মেয়েকে বলেন, পড়তে বস একটু পর মাস্টার পড়াতে আসবেন, এই বলে মা বাজারে চলে যান।

    তারপর মা বাজারে থেকে বাড়ি ফিরে দেখে মেয়ে ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। এর পর ওই ছাত্রীর মা প্রতিবেশীদের চিৎকার করে জানান। এরপর ঠাকুরপুকুর থানার পুলিসকে খবর দেওয়া হলে পুলিস ওই  ছাত্রীকে উদ্ধার করে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। ছাত্রীর নাম অঙ্কনা বিশ্বাস, দ্বাদশ বিদ্যামন্দিরের মাধ্যমিকের ছাত্রী। মা অঞ্জলি বিশ্বাস, এবং বাবা করোনার সময় মারা যান। মা আর মেয়ে একসঙ্গে থাকত। এলাকা সূত্রে জানা যায়, অঙ্কনা স্বভাবে ভদ্র ও মিশুকে প্রকৃতির ছিল। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। ঠাকুরপুকুর থানার পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।

    উল্লেখ্য, গত মাসে নবম শ্রেণির ছাত্র আত্মঘাতী হয়। আইফোন না কিনে দেওয়ায় আত্মহত্যা পথ বেছে নেয় নবম শ্রেণির ছাত্র দীপাঞ্জন দাস (১৭)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপাঞ্জন নিমপীঠ আশ্রমের নবম শ্রেণির ছাত্র।

    কয়েক মাস আগে প্রায় ৩২ হাজার টাকা দিয়ে তাকে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে দিয়েছিলেন তার বাবা, ভাষ্কর দাস, যিনি পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু জন্মদিন উপলক্ষে আবারও সে মা-বাবার কাছে আইফোন কিনে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। পরিবার তা অস্বীকার করায় দীপাঞ্জন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যুর আগে গত কয়েকদিন ধরে সে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়াও করছিল না। সোমবার বিকেলে দিদার বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ দীপাঞ্জনকে না দেখে খোঁজ করতে গিয়ে ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।

    আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... 


    iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১


    কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭


    ২৪x৭ টোল-ফ্রি মানসিক স্বাস্থ্য পুনর্বাসন হেল্পলাইন-- কিরণ (১৮০০-৫৯৯-০০১৯)

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)