বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর প্রতিশোধ? দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রতিদিন | ২৫ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৬ সালে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির। এর প্রতিশোধ নিতেই দিল্লির লালকেল্লা চত্বরে গাড়িতে আত্মঘাতী হামলা চালায় ‘জেহাদি চিকিৎসক’ উমর উন নবি ওরফে উমর মহম্মদ। সে নিজেকে ‘আমির’ বলে প্রচার করত ‘হোয়াইট কলার’ জঙ্গি’দের মধ্যে। তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, জেহাদিদের স্বঘোষিত নেতা ছিল উমর।
গত দুই সপ্তাহে হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ‘হোয়াইট কলার’ জেহাদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রচুর অপরাধমূলক তথ্য সামনে আসছে। যেমন, উমর মহম্মদের ‘আমির’ নামকরণের পিছনে ছিল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জেহাদি চিকিৎসক’ মুজাম্মিল শাকিল। এই শাকিল বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে। শুরুতে তাকেই জইসের তরফে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, আরেক সন্দেহভাজন জেহাদি শহিন সাইদকে জেরা করেও চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তন্তকারীরা।
মুজাম্মিল শাকিল জেরায় বলেছে যে জেহাদি কার্যকলাপে উমর মহম্মদের অভিজ্ঞতা এবং কর্মকাণ্ডের পাশে সে “নিছক শ্রমিক”। লালাকেল্লা চত্বরে হামলার নামও দেওয়া হয়েছিল ‘অপরেশন আমির’। তদন্তকারীদের শাকিল জানিয়েছেন, উমর মহম্মদ ছিল জেহাদিদের মধ্যে সবচেয়ে মেধাবী এবং শিক্ষিত ব্যক্তি। নয়টি ভাষায় পারঙ্গম ছিল, চাইলে অনায়াশে পরমাণু বিজ্ঞানী হতে পারত। উল্লেখ্য, তদন্ত সূত্রে উঠে এসেছে দীর্ঘ দু’বছর ধরে দিল্লিতে হামলার ছক করেছিল জঙ্গিরা। বোমা তৈরিতে খরচ হয়েছিল লক্ষাধিক টাকা। আত্মঘাতী জঙ্গি উমর মহম্মদের সহযোগী ‘জেহাদি চিকিৎসক’ মুজাম্মিল শাকিলকে জেরা করে এমনই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।
দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে। তদন্তে নেমে শ্রীনগর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা বেশিরভাগই কাশ্মীরের। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের দুই ষড়যন্ত্রী-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। পাশাপাশি, তদন্তকারীদের স্ক্যানারে রয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ও। একে একে সামনে আসছে দেশে ছড়িয়ে থাকা জইশ-ই-মহম্মদের ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর ভয়াবহ তথ্য।