• বিচ্ছেদের পরও অত্যাচার! স্বামীকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে ‘খুন’, গ্রেপ্তার প্রাক্তন স্ত্রী-কন্যা
    প্রতিদিন | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: বিচ্ছেদের পরও অত্যাচার! স্বামীকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার প্রাক্তন স্ত্রী। মাকে সঙ্গ দেওয়ায় গ্রেফতার মেয়েও। প্রাক্তন স্ত্রীর বাড়ির পিছনের বাঁশ বাগান থেকে মাথা থেঁতলান যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো তারকেশ্বরের কাঁরারিয়া এলাকায়। খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রাক্তন স্ত্রী কদম মন্ডল এবং সৎ মেয়ে অঙ্কিতা মন্ডল।

    জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুমন্ত শিট। তাঁর বয়স ৩৫ বছর। তারকেশ্বরের কেশবচক এলাকায় তাঁর বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। জানা গেছে, প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর বছর দশক আগে কদম মন্ডলকে বিয়ে করেন সুমন্ত। জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে বিচ্ছেদ হয় দু’জনের। সুমন্তর সম্পত্তি বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল প্রাক্তন স্ত্রী কদম। বার বার প্রাক্তন স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা চাইতে যেতেন সুমন্ত। এমনই দাবি নিহত সুমন্তর বোনের।

    তাঁর দাবি, মঙ্গলবারও কদমের বাড়ি যান সুমন্ত। রাত দুটো নাগাদ পুলিশ খবর পায় কাঁরারিয়া এলাকার একটি বাঁশ বাগানে মৃতদেহ পরে আছে রক্তাক্ত অবস্থায়। খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করে সুমন্তর দেহ। এরপরই খুনে যুক্ত থাকার সন্দেহে প্রাক্তন স্ত্রী কদম মন্ডল এবং তাঁর মেয়ে অঙ্কিতাকে আটক করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় সুমন্তকে খুনের কথা স্বীকার করে প্রাক্তন স্ত্রী কদম এবং অঙ্কিতা। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। আদালতে মা এবং মেয়ের পুলিশি হেপাজতের দাবি জানানো হয়।

    পুলিশ জানিয়েছে অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল সুমন্তর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধেও চুরি-ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। পুলিশি জেরায় প্রাক্তন স্ত্রী এবং সৎ মেয়ে জানিয়েছেন বিচ্ছেদের পরও তাদের উপর অত্যাচার করতো সুমন্ত। মঙ্গলবার রাতে চরম অশান্তি কারণে সুমন্তর মাথায় বাঁশ দিয়ে মারতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর বাঁশ বাগানে দেহ ফেলে দিয়ে আসে তাঁরা। মৃত যুবকের বোন অঞ্জলি মিদ্দ্যা বলেন, “কদমের আগের স্বামী নেপু মন্ডলকেও খুন করে সে। ওর জন্য কত ছেলের জীবন নষ্ট হয়েছে। আমার দাদাকে বশ করে জমি ভিটে বন্ধক দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা লোন নিয়েছিল ব্যবসা করবে বলে। সেই টাকা চাইতেই অশান্তি করত। ও মোটেও ভালো না। কঠিন শাস্তি চাই।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)