সন্দীপ প্রামাণিক: অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে গনধর্ষণ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা (Narendrapur Rape case) এলাকায়। ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের। ঘটনার তদন্তে নেমে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
বাড়ির কাছে ঘুঘনি খেতে বেরিয়েছিল দুই ছাত্রী। দুজনেই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। তাদেরকে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে 'শুভ সেনাপতি ও শৌভিক ভদ্র' নামে দুই যুবক বাইকে করে নিয়ে যায় ৷ এরা প্রথমে সাহাপাড়া এলাকায় এক বন্ধুর গ্যারেজে নিয়ে যায়৷ ঘনশ্যাম ওরফে সত্য গিরি নামে আরেক যুবক তাদেরকে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায় ৷ প্রসেনজিত মন্ডল নামে আরও একটি ছেলে আসে৷ তাদেরকে সায়ন প্রামানিকের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়িতে সায়ন প্রামানিক ও সায়ক দাস এরা দুজন ছিল৷
তারপর ভয় দেখিয়ে জোর করে শৌভিক ভদ্র, প্রসেনজিত মন্ডল, ঘনশ্যাম গিরি ও সায়ন প্রামানিক চারজনে মিলে ধর্ষণ করে ৷ একজনকেই ধর্ষণ করা হয় ৷ অন্যজনের পিরিয়ড হয়েছিল তবে তাকে উলঙ্গ করে ভিডিও তোলা হয় ৷ ২০শে নভেম্বর রাতে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি বাড়িতে জানালে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
দু'দিন আগেই, কসবার এক হোটেলে সিএ-এর রহস্যমৃত্যু হয়। পুলিস আদর্শের লোসালকার নামে ওই ব্যক্তির পা বাধা এবং বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে। তদন্তে জানা যায়, আদর্শের সঙ্গে আরও দুজন ওই হোটেলে আসে। কিন্তু তারা বেপাত্তা। রবিবার ওই যুগল নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পন করে। অভিযুক্ত ছেলেটির নাম ধ্রুব মিত্র এবং মেয়েটি কমল সাহা।
জানা যায়, ডেটিং অ্যাপ থেকে আদর্শের সঙ্গে তাদের আলাপ। ঘটনার দিন অর্থাত্ শুক্রবার তাদের প্রথম আলাপ হয়। তিন জনের মধ্যে বচসা, ধস্তাধস্তি হয়। মেঝেতে পড়ে যান আদর্শ। জেরায় ধৃতরা দাবি করেছে, আদর্শ মেঝেতে পড়ে যাওয়ার পর তার নাক থেকে রক্ত বেরোতে দেখে তারা হোটেল থেকে বেরিয়ে যায়। পা বাধার কারণ হিসেবে ধৃতদের দাবি আদর্শ যাতে উঠে গিয়ে আবার ওদের মারধর করতে না পারে সেজন্য পা বেঁধে দিয়েছিল।
তদন্তে আগেই জানা গিয়েছিল, অনলাইনে হোটেল রুম বুক করা হয়েছিল। রুমটি নিহত যুবকই বুক করেন অনলাইনে। আদর্শের মোবাইল পাওয়া যায়নি ঘর থেকে।
দুটো রুম বুক করা হয়েছিল। সিসিটিভি সূত্রে দেখা যায়, রাত আড়াইটা নাগাদ ধ্রুব এবং কমল হোটেল থেকে বেরিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে
পরদিন দুপুরে চেক আকউট না করায় হাউস কিপিং রুমে গিয়ে দেখে বিবস্ত্র এবং পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে আদর্শ। গলায় লিগেচার মার্ক অর্থাত্ ফাঁসের দাগ পাওয়া গিয়েছে। ফলে শ্বাসরুধ করে খুন বলে অনুমান। আরও জানা যায়, গতকাল দুপুর আড়াইটা নাগাদ আদর্শের নম্বরটি হোয়াইটস সব গ্রুপ থেকে লেফ্ট করে যায়। ঘরে ভিতর থেকে মিলেছে মদের বোতল।