পুরনো বিজ্ঞপ্তি নিয়ে গিমিক তৈরি, কমিশন ও বিজেপিকে এক হাত নিলেন অভিষেক
দৈনিক স্টেটসম্যান | ৩০ নভেম্বর ২০২৫
চার মাস পুরনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গিমিক তৈরির অভিযোগ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। আর তা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। এই ঘটনায় বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে একযোগে বিঁধলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ওই বিজ্ঞপ্তি ৪ মাস পুরোনো’ এবং ‘মিথ্যা উত্তেজনা সৃষ্টি ও নির্বাচন কমিশনকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা চলছে’ বলে অভিযোগ তুললেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
শনিবার রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডলে অভিষেক লেখেন, ‘চার মাস পুরনো বিজ্ঞপ্তি সামনে এনে মিথ্যা উত্তেজনা সৃষ্টি এবং নির্বাচন কমিশনকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মিস্টার স্যার-এর কৌশল শুধু ব্যর্থই হয়নি, তা জনসাধারনের সামনে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে।’
Advertisement
আর কয়েক মাস বাদেই বাংলায় নির্বাচন। বাংলায় ফের হারের মুখ দেখতে হবে বিজেপিকে দাবি তৃণমূল সাংসদের। অভিষেক লিখেছেন ‘ওদের হাতে থাকা প্রতিটি অস্ত্র, নির্বাচন কমিশন, ইডি, সিবিআই, আয়কর দপ্তর, কেন্দ্রীয় বাহিনী, অনুগত সংবাদমাধ্যম এমনকী বিচার বিভাগের কিছু অংশ ব্যবহার করার পরও বিজেপি জানে এই বাংলা তাদের পরাজিত করবে। ২০২১ সালের চেয়েও বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসবে।’
বিজেপি নেতাদের উদ্দেশে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অভিষেক লিখেছেন, ‘বিজেপি নেতাদের কাছে আমার সহজ প্রশ্ন, আপনারা কি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার সাহস দেখাবেন, না কি বাসি প্রচার ও রাষ্ট্রশক্তির আড়ালে লুকিয়ে থাকবেন?’
উল্লেখ্য, শনিবার নির্বাচন কমিশনের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এসেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে বিএলওদের সাম্মানিক ৬ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য ইনসেনটিভ ১ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার। বিএলও সুপারভাইজারদের সাম্মানিক ১২ হাজার থেকে বেড়ে হচ্ছে ১৮০০০ টাকা।
২০১৫ সালের পর প্রথমবার বিএলও-দের অর্থ বিপুল পরিমাণ বেড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে এই বিজ্ঞপ্তি ২ আগস্ট প্রকাশিত হয়েছিল। দেশজুড়ে এসআইআর প্রক্রিয়া ঘোষণার অনেক আগে। বিজেপির তরফে সেই বিজ্ঞপ্তি নতুন করে সামনে এনে চমক তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন অভিষেক।