• পুজোর ৩ হাজার বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং খুলল পুরসভা, সরানো হল ১৫০০ বাঁশ, ৬০টি জরিমানার চিঠি জারি
    বর্তমান | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শহর থেকে প্রায় তিন হাজার পুজোর সময়ের বিজ্ঞাপন খুলে দিল কলকাতা পুরসভা। পুজোর সময় রাস্তার দু’ধারে অস্থায়ী বিজ্ঞাপন দিতে বাঁশের কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। প্রায় দু’হাজারেরও বেশি বিজ্ঞাপনের বাঁশ খোলানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জরিমানা বাবদ আদায় হয়েছে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। 

    গত কয়েকবছর ধরে রাস্তার ধারের কাঠামো তৈরি থেকে শুরু করে পুজোর সময়ের বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং বা ব্যানার খোলা নিয়ে কড়াকড়ি করছে পুরসভা। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে হোর্ডিং-ব্যানার না খোলায় একাধিক বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থাকে জরিমানা করা হয়েছে। এবছরও পুরসভা নোটিশ দিয়ে জানিয়েছিল, দুর্গাপুজোর দশমীর পর সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই ধরনের বিজ্ঞাপন খুলে ফেলতে হবে। এবছর সেই মতো শহরের অনেকাংশেই পুজোর অস্থায়ী বিজ্ঞাপন খুলে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এখনও রয়েও গিয়েছে বহু বিজ্ঞাপন। কোথাও কোথাও হোর্ডিং সরানো হলেও বাঁশের কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে। এই অবস্থায় ফের অভিযান চালিয়েছিল কলকাতা পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ— বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়ে তিন হাজারেরও বেশি পুজোকেন্দ্রিক অস্থায়ী বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং-ব্যানার খুলে ফেলেছে তারা। ১৫ দিন অভিযান চলেছে। ৩৭টি জায়গায় বাঁশের কাঠামো খোলা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। সেই টাকার অঙ্কও অনেকটাই বাড়বে।

    ইএম বাইপাস ও ধর্মতলা থেকে চৌরঙ্গি, পার্ক স্ট্রিট থেকে এক্সাইড, গুরুসদয় রোড, সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন রাস্তা থেকে পুজোর বিজ্ঞাপন খোলা হয়। এখান থেকে প্রায় ২০০ পুজোর সময়ের ফ্লেক্স-ব্যানার এবং তিনটি জায়গা থেকে বাঁশের কাঠামো খোলা হয়েছে। এছাড়া শ্যামবাজার, খান্না, মানিকতলা চত্বর এবং যাদবপুর থানা থেকে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি এবং সাদার্ন অ্যাভিনিউতে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং খোলা হয়। তবে এবছর অনেক ক্ষেত্রেই পুজোর সময়ের বিজ্ঞাপন সংশ্লিষ্ট পুজোকমিটি বা বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থা সরিয়ে ফেলেছে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। ওই আধিকারিকের ব্যাখ্যা, এবার প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে নিজেরাই পুজোর পর বিজ্ঞাপন খুলে ফেলেছে। বাঁশের কাঠামো গত বছর পুরোটাই পুরসভাকে খুলতে হয়েছিল। এবার অন্তত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থা বা পুজো কমিটিই খুলেছে। আশা করি, পরের বছর অভিজ্ঞতা আরও ভালো হবে। পুরসভা সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৬০টি জরিমানার চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়বে। এক অফিসার জানান, বিজ্ঞাপনের যে স্বাভাবিক রেট রয়েছে, সেই টাকা তো দিতে হবেই। সেই সঙ্গে আরও তিনগুণ বেশি টাকা গুনতে হবে। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এই ব্যানার ফ্লেক্স বা বাঁশের কাঠামো খোলার খরচও। প্রতিটি বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থার থেকে সেই খরচ বাবদ অতিরিক্ত ছ’হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। গতবছর জরিমানা বাবদ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা আয় করেছিল পুরসভা।
  • Link to this news (বর্তমান)