• হোয়াইট হাউসের কাছে ২ ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলি, ‘আমি নির্দোষ’, আদালতে দাবি অভিযুক্ত যুবকের
    এই সময় | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • হোয়াইট হাউসের কাছে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলির ঘটনায় উত্তাল গোটা আমেরিকা। ইতিমধ্যেই রহমানউল্লাহ লাকানওয়ালা নামে ২৯ বছর বয়সি এক আফগান যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। তিনিও গুরুতর আহত। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। মঙ্গলবার রহমানউল্লাহকে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা এবং হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন রহমানউল্লাহ।

    গত সপ্তাহের বুধবার মাঝরাতে হোয়াইট হাউসের কয়েকটি ব্লক দূরে ডাউনটাউনে টহল দিচ্ছিলেন ন্যাশনাল গার্ডের সারা বেকস্টম এবং অ্যান্ড্রু উলউ। অভিযোগ, আচমকাই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালান রহমানউল্লাহ লাকানওয়ালা নামের এক আফগান যুবক। পাল্টা হামলা করেন ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরাও। রীতিমতো গুলির লড়াই শুরু হয়ে যায়। মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন রিভলভার দিয়ে সারা এবং উলফের উপরে হামলা চালিয়েছিলেন রহমানউল্লাহ। ঘটনার একদিন পরে মৃত্যু হয় সারার। অ্যান্ড্রুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তল্লাশিতে নেমে সেদিনই রহমানউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    এদিন হাসপাতাল থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রহমানউল্লাহকে আদালতে পেশ করা হয়। সরকারি আইনজীবী অ্যারিয়েন ডিন আদালতে বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে হোয়াইট হাউসের কাছে লুকিয়ে ছিলেন অভিযুক্ত। তার পরে সুযোগ বুঝে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের উপরে হামলা করেন।’ এই ঘটনাকে ‘স্তম্ভিত করে দেওয়ার মতো অপরাধ’ আখ্যা দেন তিনি।

    তবে বিচারকের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন রহমানউল্লাহ। সংক্ষিপ্ত শুনানিতে তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘হামলার সঙ্গে রহমানউল্লাহর কোনও যোগ নেই।’ তবে এই ঘটনায় ‘ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়েছে’ উল্লেখ করে অভিযুক্তের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

    অপরাধের ঘটনায় লাগাম টানতে চলতি বছরেই রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি-র দায়িত্ব ন্যাশনাল গার্ডের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। মূলত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই তাদের কাজ। তার পর থেকেই ওয়াশিংটন জুড়ে টহল দিচ্ছে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা। মোতায়েন রয়েছে হোয়াইট হাউসের সামনেও। অপরাধ দমনে সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগানো নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও। এর মধ্যেই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা সামনে আসে।

    ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ২০২১ সালে বাইডেনের জমানায় অপারেশন অ্যালাইজ ওয়েলকাম-এর আওতায় আফগানিস্তানের অনেক নাগরিককে আমেরিকায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে রহমানউল্লাহও আমেরিকায় ডেরা বাঁধেন। এই ঘটনাকে জঙ্গি হামলা আখ্যা দিয়ে আফগানিস্তান থেকে আসা সমস্ত নাগরিকদের কঠোর তদন্তের আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি থেকে আর কোনও অভিবাসীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)