• 'মানবিক দিক দেখে রায়, এই প্রথম দেখলাম,' বিরক্ত শুভেন্দু, হতাশ CPM-এর বিকাশও
    আজ তক | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নতুন মোড়। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় খারিজ করে জানিয়ে দিয়েছে। সমস্ত নিয়োগ বহাল থাকবে। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া।

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় ছিল তথ্যভিত্তিক। আর ডিভিশন বেঞ্চের রায় হল মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে।' তাঁর বক্তব্য, 'বিচারব্যবস্থার প্রক্রিয়া এক হওয়া উচিত।' তিনি দাবি করেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই সঠিক ছিল, কারণ তা ছিল বাস্তব তথ্যের উপর দাঁড়ানো। একইসঙ্গে শুভেন্দুর মন্তব্য, 'সরকার নিজেই স্বীকার করে নিল যে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়মমাফিক হয়নি। আদালত প্রথম মানবিক দিক থেকে রায় দিল। এতে অযোগ্যরা একটা বড় অস্ত্র পেয়ে গেল।' তিনি জানান, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ হলে আরও বিশদ বিশ্লেষণ করবেন। এবং বঞ্চিতদের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পথ খোলা আছে।

    এদিন আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট নন বাম সাংসদ ও বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও। তাঁর অভিযোগ, 'চাকরি আপাতত বাঁচলেও এই রায়ে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রশ্রয় পেল। এটি ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।' আদালতে যে দুর্নীতির তথ্য জমা পড়েছে, তা আইনের দিক থেকেও গুরুতর। তবু সেগুলি যদি বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব না পায়, তাহলে ভবিষ্যতে দুর্নীতি আরও বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিকাশবাবু।

    অন্যদিকে মামলার অন্যতম পিটিশনার বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির প্রতিক্রিয়া আরও কঠোর। তিনি বলেন, 'আজকের রায়ে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি কার্যত মান্যতা পেল। আদালত মানবিক দিক দেখে চাকরি বহাল রেখেছে। কিন্তু যারা বঞ্চিত হল, তাদের পরিবারের কোনও মূল্য নেই?'

    তরুণজ্যোতির দাবি, মানবিকতা ও ন্যায়বিচার কখনও এক জিনিস নয়। ত্রিপুরা শিক্ষক নিয়োগ মামলা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক এসএসসি মামলার রায়, সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি প্রমাণিত হলে চাকরি বাতিলই নিয়ম। সেই প্রেক্ষিতে ৩২ হাজার নিয়োগ বহাল রাখা ‘অস্বাভাবিক’। তবে তিনি উল্লেখ করেন, আদালত জানিয়ে দিয়েছে, তদন্ত চলবে, এবং রিজার্ভেশন সংক্রান্ত সব মামলা সিঙ্গেল বেঞ্চেই চলবে। ফলে লড়াই শেষ হয়নি, বরং আরও এক ধাপ এগোল।
  • Link to this news (আজ তক)