মগজধোলাইয়ের হাতিয়ার! জঙ্গিবাদ রুখতে ‘জিহাদি সাহিত্য’ নিষিদ্ধ করল অসম সরকার
প্রতিদিন | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসলামিক মৌলবাদী সাহিত্য থেকেই ছড়াচ্ছে জঙ্গিবাদ! সেই আশঙ্কা থেকেই এবার অসমে সব ধরনের ইসলামিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সাহিত্য, পুস্তিকা নিষিদ্ধ করে দিল অসম সরকার। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ধর্মের নামে উগ্রপন্থা, বা সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেয় এমন কোনও সাহিত্য প্রকাশ করা, প্রকাশ করা, বিক্রি করা বা সংগ্রহ করা সবটাই আইনত অপরাধ।
এমনিতে সীমান্তবর্তী রাজ্য হওয়ায় অনুপ্রবেশ অসমের দীর্ঘদিনের সমস্যা। এখন সে রাজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ বাসিন্দা সংখ্যালঘু। অসম সরকারের গোয়েন্দা সূত্র বলছে, সে রাজ্যের সংখ্যালঘু যুবক-যুবতীদের প্রভাব বিস্তার করতে বিভিন্ন রকম ইসলামিক সাহিত্যের সাহায্য নিচ্ছে জিহাদিরা। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি। অসমের সংখ্যালঘু এলাকাগুলিতে প্রভাব বিস্তার করছে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ, আনসারুল্লা বাংলা টিম, আনসার-আল-ইসলামের মতো প্রভাবশালী জিহাদি সংগঠন। অসম পুলিশ সূত্রের খবর, এই জেহাদি সংগঠনগুলি সংখ্যালঘু যুবকদের মগজধোলাইয়ের জন্য বিভিন্নরকম জেহাদি সাহিত্য ব্যবহার করছে।
ধর্মপ্রচারের নামে পুস্তিকার মাধ্যমে এবং ডিজিটাল মাধ্যমে নিষিদ্ধ সাহিত্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যা রাজ্যের এবং দেশের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। ওই গোয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়ার পরই অসম সরকার সেই সবরকমের জেহাদি সাহিত্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অসম সরকারের দাবি, এই ধরনের জেহাদি সাহিত্য শুধু যে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে তাই নয়, একই সঙ্গে বাড়াচ্ছে ধর্মীয় বিভাজনও। ধর্মের নামে সংখ্যালঘুদের উসকানি দিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে।
সংখ্যালঘু সংগঠনগুলির একাংশের আশঙ্কা, এই ফতোয়ার মাধ্যমে আসলে মুসলিমদের সব ধরনের ধর্মীয় প্রচার রুখতে চাইছে সরকার। যদিও অসম সরকার বলছে, যে সব সংগঠনের সাহিত্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলি ইতিমধ্যেই জঙ্গি সংগঠন হিসাবে ঘোষিত। ফলে এতে আপত্তির কোনও কারণ নেই।