এক দেশ, এক ভোট, দ্রুত সংসদে প্রস্তাব জমা দেবে যৌথ সংসদীয় কমিটি
প্রতিদিন | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীঘ্রই ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে সংসদে নিজেদের প্রস্তাব জমা দেবে যৌথ সংসদীয় কমিটি। বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর এ কথা জানান কমিটির চেয়ারম্যান পিপি চৌধুরি। এদিন কমিটির কাছে এক দেশ, এক ভোট প্রসঙ্গে মতামত জানান সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, ভারতীয় ল’ কমিশনের ২৩তম চেয়ারম্যান দীনেশ মাহেশ্বরী।
তার আগে কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মুকুল ওয়াসনিক, বিজেপির অনুরাগ ঠাকুররা নিজেদের বক্তব্য জানান। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কমিটিকে বলেন, নির্বাচন কবে হবে, তা ঠিক করার অধিকার ভোটারদের নেই।
বিরোধীদের তরফে পাল্টা সওয়াল করা হয়, বর্তমানে ভোটারদের সুযোগ থাকে রাজনৈতিক দলের পারফরম্যান্সের বিচার করে ভিন্ন নির্বাচনে নিজেদের মত প্রকাশ করা। তা না থাকলে তো ভোটারদের অধিকারই কেড়ে নেওয়া হবে।
এক দেশ, এক ভোট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ড্রিম প্রোজেক্ট’ নিয়ে প্রবল আপত্তি কংগ্রেসের। হাত শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, রাজ্য ও কেন্দ্রের ভোট একসঙ্গে হলে জাতীয়তাবাদের ধুয়ো তুলে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনগুলিতেও সুবিধা পাবে বিজেপি। কংগ্রেসেরই একটা অংশ মনে করছে, লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট যৌথভাবে হলে জাতীয় দল হিসাবে বিজেপির পাশাপাশি লাভবান হবে হাত শিবিরও। রাজ্যের দলগুলির ভাবনা কংগ্রেসের মত হলেও তারা স্থানীয় ইস্যুতে লড়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছে।
প্রশ্ন হল, এক দেশ, এক ভোটে যদি কংগ্রেস সুবিধাই পায়, তাহলে হাত শিবিরের এত বিরোধ কেন? ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, কংগ্রেসের বিরোধিতার একাধিক কারণ রয়েছে। লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট একসঙ্গে হলে কংগ্রেসের যে সুবিধা পাওয়ার কথা, সেই সুবিধা নেওয়ার মতো প্রভাবশালী এবং জনপ্রিয় কেন্দ্রীয় নেতা কংগ্রেসের হাতে নেই। তাছাড়া গোটা দেশকে এক সুতোয় বাধার মতো কেন্দ্রীয় কোনও ইস্যুও কংগ্রেসের হাতে নেই। বিজেপি যেমন স্রেফ হিন্দুত্বের জিগির তুলে আসমুদ্র হিমাচল এক সুতোয় বেঁধে ফেলতে পারে, সেটা করার মতো কোনও হাতিয়ার কংগ্রেসের হাতে নেই। আলাদা আলাদা ভোট হলেই আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট করে রাজ্যে রাজ্যে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাটাকেই শ্রেয় বলে মনে করছে হাত শিবির।