• দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর মন্দির সরকারি না ব্যক্তিগত সম্পত্তি, হাইকোর্টে ফের শুনানি
    বর্তমান | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দক্ষিণেশ্বর মন্দির নিয়ে দায়ের হওয়া শতাব্দী প্রাচীন মামলার শুনানি ফের শুরু হল কলকাতা হাইকোর্টে। দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিনীর মন্দির সরকারি সম্পত্তি নাকি এটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি? এই ইস্যুতেই ফের শুরু হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া। 

    এর আগে ট্রাস্টি কমিটি নির্বাচন, আর্থিক অনিয়ম সহ নানা অভিযোগে দায়ের মূল মামলার শুনানি ২০২২ সালে শুরু হলেও গত দু’বছর তা বন্ধ ছিল। এবার যাবতীয় মামলার শুনানি হবে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। ১৭ ডিসেম্বর মূল মামলার শুনানি শুরু হবে। তার আগে কেন্দ্র ও রাজ্যকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ট্রাস্টকে তারা কোনও আর্থিক অনুদান দিয়েছে কি না, তা রিপোর্ট আকারে জানাতে হবে কেন্দ্র ও রাজ্যকে। অভিযোগ, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডে একটানা ৫০ বছর ধরে সম্পাদক পদে রয়েছেন একজন। মামলায় এই অভিযোগও যুক্ত হয়েছে। আড়াইশো বছরের পুরনো এই মন্দিরের সেবাইতদের অভিযোগ, ট্রাস্টি বোর্ডের মিটিং ছাড়াই ভুয়ো নির্বাচন হচ্ছে। ফলে মন্দিরের টাকার হিসেব সম্পর্কে অন্ধকারে রয়েছেন সেবাইতরা। বর্তমান সম্পাদক কুশল চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁরা। 

    ১৮৭২ সালে রানি রাসমণি তাঁর আট নাতির নামে একটি অর্পণনামা তৈরি করেছিলেন। আটজন নাতির অবর্তমানে তাঁদের ছেলেরা সেবাইত হবেন এবং তাঁরাই দক্ষিণেশ্বরের দায়িত্ব পাবেন, এমনই বলা হয়েছিল ওই অর্পণনামায়। যদিও রানিমার বড় নাতি বলরাম দাস হাইকোর্টে মামলা করে জানতে চান, অর্পণনামা কীভাবে পরিচালনা হবে? তার জন্য স্কিম করার আবেদন জানান তাঁরা। সেই মামলায় ১৯২৯ সালে আদালত নির্দেশ দেয় সেবাইত কারা, তা নিয়ে ভোট করতে হবে। পরবর্তী সময় ১৯৭২ সালে আশুতোষ দাস নামে এক সেবাইত তৎকালীন ট্রাস্টি বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করে টাকা তছরুপের অভিযোগ আনেন। তাঁর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে তিন বছর অন্তর ট্রাস্টি বোর্ডে নির্বাচনের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। 

    পরে ২০২১ সালে ফের নির্বাচন করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় ট্রাস্টি বোর্ড। বিচারপতি শেখর ববি শরাফ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যকে স্পেশাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেন। কারা নির্বাচনে ভোট দেবেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই তালিকা চাইলেও কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। এতদিন সেই মামলা ঝুলেছিল। এবার নতুন করে মামলার শুনানি শুরু হবে।  ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)