প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও যৌনতায় সম্মতি দিতে পারে না নাবালিকা, পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের
প্রতিদিন | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
গোবিন্দ রায়: প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও যৌনতায় সম্মতি দিতে পারে না নাবালিকা। নাবালিকার সম্মতি গ্রহণ করাও যায় না। পকসো মামলায় পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC)।
ঘটনাক সূত্রপাত বহুবছর আগে। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে এক নাবালিকা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ২০১৬ সালে নাকি প্রেমিকের সঙ্গে সহবাস করে নাবালিকা। অভিযোগ, এরপর একাধিকবার নাবালিকার আপত্তি সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে প্রেমিক। যার জেরে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অভিযোগ, বিষয়টা জানাজানি হতে পিতৃত্ব অস্বীকার করে অভিযুক্ত। এরপর নারকেলডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। দোষী প্রমাণিত হওয়ায় নাবালিকার প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে নাবালিকার বয়স, সম্মতি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে দ্বারস্থ হয় অভিযুক্ত।
সেই মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই বিচারপতি বলেন, নির্যাতিতার বয়ানে সঙ্গতি থাকলে, ডিএনও রিপোর্টে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আর অন্য কোনও প্রমাণের দরকার পড়ে না। সেখানেই বিচারপতি আরও বলেন, “প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও যৌনতায় সম্মতি দিতে পারে না নাবালিকা। দিলেও তা গ্রহণযোগ্য নয়।” ফলে দোষীর নিম্ন আদালতের যাবজ্জীবনের সাজাই বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। পাশাপাশি স্টেট লিগাল সার্ভিস অথারিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছে। অভিযুক্তকে আরও ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত যদি জামিনে মুক্ত হয়েও থাকেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।