• মোদির প্রশংসা করে গরহাজির দলের বৈঠকে! তবুও শশীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয় কেন? প্রশ্নের মুখে কংগ্রেস
    প্রতিদিন | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কংগ্রেসের সঙ্গে শশীর দুরত্ব প্রকাশ্যে এসেছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, থারুরের কংগ্রেস ত্যাগ সম্ভবত সময়ের অপেক্ষা। আরও একবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর ডাকা বৈঠকে গরহাজির থাকলেন তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ। এরপরেও রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন কেন শশীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না দল। পাশাপাশি, শশীও দল ছাড়ার কোনও সম্ভাবনাকে প্রকাশ্যে গুরুত্ব দেননি।

    রাজনৈতিক মহলে অনেকেরই এখন প্রশ্ন, কেন কংগ্রেস শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিশেষ করে সাম্প্রতিক অতীতে মোদির প্রশংসা করে শশীর মন্তব্যগুলির সমালোচনা করেছে দল। তার পরেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি, কংগ্রেসের অন্দরে প্রতিবাদী জি-২৩ গোষ্ঠীতেও ছিলেন তিনি। এরপরেও কংগ্রেসের অন্দরে শশীর গুরুত্ব কমেনি।

    কংগ্রেসের কেরলা ইউনিটে থারুরের সঙ্গে জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালের মধ্যে সমস্যার কারণে থারুরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে অনিচ্ছুক কংগ্রেস। বেণুগোপাল রাহুলে ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুলের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। অন্যদিকে, যুব ভোটারদের মধ্যে থারুরের উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে তিনি চারবার তিরুবনন্তপুরম থেকে জয়ী হয়েছেন। কখনও ৩৪ শতাংশের কম ভোট পাননি তিনি।

    আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের জন্য এই প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ এবং ৯ এবং ১১ ডিসেম্বরে হওয়া স্থানীয় নির্বাচনের প্রচারেও এই প্রভাব ছিল বলে মনে করে দল।

    কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের আশা থারুরের প্রভাব কাজে লাগিয়ে রাজ্যে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টকে হারাবে। ২০২০ সালের নির্বাচনে ২.২৬ শতাংশ ভোটে পিছিয়ে ছিল ইউডিএফ। বিধানসভা নির্বাচনেও এই গতি বজায় রাখার চেষ্টা করবে কংগ্রেস।

    জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের অন্দরের এই অবস্থা সম্পর্কে জানেন থারুর। আগামি বছর বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ইউডিএফ-এর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে চান বলে অনেকের ধারণা। যদিও, কংগ্রেস এই দাবি মানবে বলে এখনও কোনও আভাস পাওয়া যায়নি। এই কারণেই বৈঠক এড়িয়ে কংগ্রেসকে চাপে রাখা এবং মোদির প্রশংসা করে বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী হওয়া এই দুই সম্ভাবনাই থারুর জিইয়ে রাখছেন বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)