বধূকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ বড়ঞায় এখনও অভিযুক্তরা অধরা
বর্তমান | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, কান্দি: শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় বড়ঞা থানার পাঁচথুপী গ্রামের মোকামপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মিরা বেগম (২৩)। এদিন পুলিশ মোকামপাড়ার ওই বধূর শ্বশুরবাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় মৃতার বাবা বড়ঞা থানায় জামাই সহ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির চারজনের বিরুদ্ধে পিটিয়ে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, কীভাবে মিরা বেগমের মৃত্যু হল, তা ময়নাতদন্তের রির্পোট পেলেই স্পষ্ট হবে। অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আট বছর হল নাবালিকা অবস্থায় মিরার সঙ্গে মোকামপাড়ার জামাল শেখের বিয়ে হয়। মৃতার বাপের বাড়ি খড়গ্রাম থানার বুধুরাপাড়া গ্রামে। বিয়ে পরবর্তীতে ওই দম্পত্তির দু’টি সন্তানও হয়েছে।
এদিকে বিয়ের পর থেকেই ওই বধূর উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে শারীরিক অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ। সম্প্রতি সেই অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি। মৃতার কাকা মহম্মদ সামসুল জামানের অভিযোগ, সম্প্রতি ভাইঝির উপর চরম অত্যাচার হচ্ছিল ওর শ্বশুরবাড়িতে। সপ্তাহখানেক আগে ভাইঝিকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করেও দেওয়া হয়েছিল। এরপর ও দাদার বাড়িতেই ছিল। এদিকে গত ১০ ডিসেম্বর ওই বধূকে ফের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জামাই শ্বশুরবাড়ি আসেন বলে দাবি। এরপর বধূর বাপের বাড়িতেই গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সালিশি বসে বলে জানা গিয়েছে। বুঝিয়ে সুঝিয়ে বধূকে ফের শ্বশুরবাড়ি পাঠান হয়।
মৃতার বাবা মেরাজুল শেখের কথায়, মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর ঘর বন্ধ করে মারধর শুরু করে ওরা। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়ের মৃত্যুর খবর পাই প্রতিবেশীদের কাছ থেকে। ওরা আমার মেয়েকে পিটিয়ে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়েছে। মেয়ের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।