• যুবভারতীর ঘটনায় অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা সংস্থার ৩ কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
    এই সময় | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • এই সময়: সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের অনুষ্ঠানে লিওনেল মেসিকে ঘিরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে চূড়ান্ত ব্যর্থতা ও টিকিট বিক্রির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি বেসরকারি সংস্থার সিইও-সহ তিন শীর্ষকর্তাকে শনিবার দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করল রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। ওই সংস্থা মেসির অনুষ্ঠানের টিকিট অনলাইনে বিক্রির দায়িত্বে ছিল।

    দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে ওই সংস্থার তিন জন তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন। সিট–এর প্রাথমিক তদন্তে ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পাশাপাশি আর্থিক অনিয়মের স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে, এমনটাই দাবি। তার জন্যই টিকিট বিক্রি করে মোট কত টাকা আয় হয়েছে, তা নিয়ে বিশদে তথ্য জানতে সংস্থার প্রতিনিধিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন তদন্তকারীরা।

    সিট সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইনে টিকিট বিক্রির সময়ে কী ভাবে এবং কার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন ‘ডিল’ হয়েছিল, সেটা ওই সংস্থার কর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিশাল অঙ্কের টাকা দিয়ে কারা টিকিট কেটেছিলেন, সেই তালিকাও তদন্তকারীরা চেয়েছেন ওই সংস্থার কাছ থেকে। কোনও প্রভাবশালী নেতা বা মন্ত্রীর তরফে টিকিটের জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল কি না, সে বিষয়েও অনলাইনে টিকিট বিক্রির দায়িত্বে সংস্থার প্রতিনিধিদের প্রশ্ন করা হয় বলে সিট সূত্রের খবর।

    আবার, লেক টাউনে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে তৈরি হওয়া লিওনেল মেসির ৭০ ফুটের মূর্তিকে ঘিরে বিতর্কের জবাব রবিবার দিয়েছেন বিধাননগরের বিধায়ক ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এ দিন তাঁর দাবি, ওই মূর্তিটি মেসির ভালো লেগেছে এবং ফুটবল তারকা নিজেই সেটির প্রশংসা করেছেন।

    সামাজিক মাধ্যমে মেসির পোস্ট করা স্বল্পদৈর্ঘ্যের একটি ভিডিয়ো ক্লিপে মূর্তিটি দেখা যাচ্ছে এবং সেটাই নিজের দাবির সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে সুজিত তুলে ধরেছেন। কলকাতা সফরে মেসি যুবভারতীতে যাওয়ার আগে ইএম বাইপাস লাগোয়া একটি হোটেলে ছিলেন। কলকাতায় ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে পৌঁছে মেসি ওই হোটেলেই ওঠেন। সেখান থেকেই লেক টাউনের নিজের মূর্তি উদ্বোধন করেন মেসি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুজিত বসু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। তবে যুবভারতীর অনুষ্ঠানে সুজিতকে দেখা যায়নি।

    যদিও বিরোধীরা এবং নেটিজ়েনদের একাংশ যুবভারতীতে মেসি মেস–এর পর থেকেই ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পাশাপাশি সুজিতের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন। অরূপ ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়লেও সুজিত এখনও মন্ত্রিসভার সদস্য। যুবভারতীর ঘটনা প্রসঙ্গে সুজিত এ দিন বলেন, ‘সরকার একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে। তার রিপোর্ট প্রকাশ না–হওয়া পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করব না।’

  • Link to this news (এই সময়)