• চুরির পর নাড়ু-মিষ্টিও খেয়ে গেল চোর, কীর্তিতে চক্ষু চড়কগাছ এলাকাবাসীর
    এই সময় | ০২ অক্টোবর ২০২২
  • পুজোর জন্য নাড়ু বানিয়ে রেখেছিলেন গৃহকর্ত্রী। সেই নাড়ুই 'রসিয়ে-কষিয়ে' খেয়ে সেই বাড়ি থেকেই লাখ লাখ টাকার সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিল চোর। শুক্রবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরে। ঘটনার জেরে এলাকায় পড়ে গিয়েছে শোরগোল।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    পুজোয় আনন্দে ডুবে গোটা রাজ্য। এই অবস্থায় দুর্গাপুরের একটি আবাসনে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। এমএএমসি টাউনশিপের বি- ওয়ান এলাকায় তালাবন্ধ একটি আবাসনে চুরির ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে। শনিবার বিষয়টি জানা যায়। সূত্রের খবর, আলমারি ভেঙে প্রায় ছয় লাখ টাকার সোনার গয়না, ২০ হাজার নগদ এবং একটি ল্যাপটপ নিয়ে চম্পট দেয় চোর। শনিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই বাড়িতে কেউ থাকে না এই খবর আগে থেকেই ছিল দুষ্কৃতীদের কাছে। সেই মোতাবেক পরিকল্পনা করে চুরি করার জন্য হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।

    তবে শুধু টাকা আর গয়নাতেই ক্ষান্ত হয়নি চোর, পুজো উপলক্ষ্যে বাড়িতে হরেক রকম নাড়ু তৈরি করে রাখা ছিল। চেটে পুজো সমস্ত নাড়ু এবং হরেক রকম মিষ্টি সাবাড় করে দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির মালিক অনামিকা দে বাড়িতে তালা দিয়ে আসানসোলে আত্মীয় বাড়ি গিয়েছিলেন। সেই সুযোগ নেয় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, জানলার কাঁচ এবং লোহার গ্রিল ভেঙে তারা বাড়িতে ঢোকে এরপর ভাঙে আলমারির দরজাও। লণ্ডভণ্ড করে দেয় গোটা ঘর। বাড়িতে এসে প্রথমে চমকে ওঠেন অনামিকা দেবী। সোনা-টাকা গায়েব দেখে সোজা খবর দেন থানায়। পুলিশ এসে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন।

    ঘটনার বিবরণ শুনে অবাক পুলিশও। রীতিমতো মনের সুখে ওই বাড়ির যাবতীয় খাবার-দাবার চেখে দেখেছে চোর। প্রথমে নাড়ু পরে মিষ্টি, এই ধরনের ‘পেটুক চোরের’ কীর্তি দেখে অগ্নিশর্মা বাড়ির মালিক। তিনি জানান, বাড়ির সকলের জন্য পুজোর আগে থেকেই নাড়ু তৈরি করে রেখেছিলেন তিনি। সেই নাড়ুর একটিও ছেড়ে রেখে যায়নি চোর। সব চেটে পুটে সাফ করে গেছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যাবতীয় বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।
  • Link to this news (এই সময়)