• Nabapatrika Snan: সপ্তমীর সকালে শুরু নবপত্রিকা স্নান, উপচে পড়া ভিড় রূপনারায়ণের একাধিক ঘাটে
    এই সময় | ০২ অক্টোবর ২০২২
  • সপ্তমীর সকাল থেকেই শুরু নবপত্রিকা স্নান। রবিবার ভোর থেকে কোলাঘাটে রূপনারায়ণের (Rupnarayan river) বিভিন্ন ঘাটে চলছে কলা বউ স্নান। কলা বউ স্নান দেখতে ভিড় জমিয়েছেন প্রচুর মানুষ। কোলাঘাটের (Kolaghat) বিভিন্ন ঘাটে নবপত্রিকা স্নান দেখতে বহু মানুষের সমাগম হয় প্রত্যেক বছরই। পাশাপাশি ভিড়ের দরুণ যাতে যানজট না সৃষ্টি হয়, তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।

    আরও পড়ুনঃ পুকুরে পরিবেশবান্ধব উপায়ে দুর্গার বিসর্জন

    রবিবার সকাল থেকেই ছোট লরি, টোটো, ট্রলিভ‍্যান, পায়ে হেঁটে স্থানীয় এবং সংলগ্ন কাছে দূরের পুজো কমিটিগুলি শোভাযাত্রা সহকারে গৌরাঙ্গ ঘাটে (Gouranga ghat) নবপত্রিকা স্নানে হাজির হয়। ঢাক, ঢোল, কাঁসি ঘন্টার শব্দে, মন্ত্রোচ্চারণে আর নববস্ত্রে অগণিত উৎসব মুখরিত মানুষের সমাগমে দুর্গাপুজোর প্রকৃত চিত্র ফুটে ওঠে। সপ্তমীর সাত সকালেই নবপত্রিকা স্নানকে কেন্দ্র করে গৌরাঙ্গ ঘাট সংলগ্ন মূল রাস্তা যানজটের সৃষ্টি হলে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে পরিস্থিতি তৎক্ষণাৎ স্বাভাবিক করা হয়। গত দু'বছর করোনার কারণে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবে সেইভাবে সামিল হতে পারেনি। তবে কোভিড পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ায় উৎসব মুখর মানুষজন তাঁদের আনন্দে মেতে উঠেছেন। যদিও ষষ্ঠীর বিকেল থেকে রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়। কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হলেও উৎসব মুখর মানুষজন আনন্দের খামতি রাখেনি। এদিন সকাল থেকে পুজোর নানা রীতি পালনের মধ্যে দিয়ে শুরু হল সপ্তমীর পুজো।

    আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোকে সর্বজনীন রূপ দিতে অভিনব উদ্যোগ শিলিগুড়ির গবেষক দম্পতির

    পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, মহাসপ্তমীতে (Maha Saptami) মহাপুজো হয়। সপ্তমীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা রীতি নীতি। যার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ আচার হল 'নবপত্রিকা স্নান' বা কলা বউ স্নান (Kola Bou Snan)। সপ্তমীর পুজোতে নব পত্রিকা স্নান সারা দিনের পুজোর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ। পুজোর সঙ্গে জড়িত সকলে কলা বউ স্নান সহ একাধিক আচারের সপ্তমীর নির্ঘণ্ট শুরু করেন। নবপত্রিকা ৯ গাছের পাতা নয়, আসলে নয় উদ্ভিদ। যেগুলি হল - কদলী বা রম্ভা (কলা), বিল্ব (বেল), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, দাড়িম্ব (দাড়িম), অশোক, ধান ও মান। নবপত্রিকার ন'টি উদ্ভিদ আসলে দুর্গার ন'টি বিশেষ রূপের প্রতীকরূপে কল্পনা করা হয়।

    আরও পড়ুনঃ 'বুর্জ আল আরব' থেকে 'ডিজনি ওয়ার্ল্ড', রইল মেদিনীপুর-খড়্গপুরের সেরা ১০ পুজো ডেস্টিনেশন

    এই নয় দেবী হলেন রম্ভাধিষ্ঠাত্রী ব্রহ্মাণী, জয়ন্ত্যাধিষ্ঠাত্রী কার্তিকী, কচ্বাধিষ্ঠাত্রী কালিকা, হরিদ্রাধিষ্ঠাত্রী উমা, বিল্বাধিষ্ঠাত্রী শিবা, অশোকাধিষ্ঠাত্রী শোকরহিতা, দাড়িম্বাধিষ্ঠাত্রী রক্তদন্তিকা, মানাধিষ্ঠাত্রী চামুণ্ডা ও ধান্যাধিষ্ঠাত্রী লক্ষ্মী। এই নয় দেবী একত্রে 'নবপত্রিকাবাসিনী নবদুর্গা' নামে পূজিতা হন।
  • Link to this news (এই সময়)