সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা হৈমন্তীর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। বাড়ির ভিতরে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
শনিবার, বাংলা বছরের প্রথম দিনেই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকে একাধিক জেলায় দল পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নানা ভাবে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে যাঁদের বিরুদ্ধে সন্দেহ, তাঁদের বাড়িতে গিয়ে নথিপত্রের খোঁজ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সব চেয়ে দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান চলছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে। শুক্রবার দুপুরে সেখানে ঢোকে সিবিআই। শনিবার সন্ধে পর্যন্ত তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ থামেনি।
তল্লাশি চলছে হৈমন্তীর স্বামী গোপালের একাধিক বাড়িতেও। পূর্ব মেদিনীপুরে গোপালের পটাশপুরের বাড়িতে শনিবার সকালেই হানা দেয় সিবিআই। সেখানেও তাঁর বাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলেছে।
হৈমন্তী এবং গোপাল কলকাতার বেহালায় যে ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন, মাস দুয়েক আগে তার বাইরে নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছিল। কাগজে চাকরিপ্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বর লেখা তালিকা ছিল বলে দাবি ওঠে সে সময়। সেই ফ্ল্যাটেও শনিবার বিকেলে পৌঁছে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। ঘণ্টা দুয়েক তল্লাশি চালিয়ে গোয়েন্দারা ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়ে চলে যান।
মাস দুয়েক আগে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত এবং বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ নাম নিয়েছিলেন হৈমন্তীর। তাঁর সঙ্গে গোপাল দলপতির সম্পর্কের কথাও বলেন কুন্তল। তার পরেই গোপাল, হৈমন্তীর বেহালার ফ্ল্যাটের বাইরে পাওয়া যায় ওই কাগজপত্র। এ বার হাওড়ায় হৈমন্তীর বাড়িতেও হানা দিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।