• গঙ্গাসাগরে ১০০, কুলপিতে ৭০! পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলে ভাঙন ধরানোর দাবি বিজেপির ০৮ মে ২০২৩ ১৬:৫৩
    আনন্দবাজার | ০৮ মে ২০২৩
  • পঞ্চায়েত ভোটের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভাঙন তৃণমূলে! বিজেপির দাবি, গঙ্গাসাগরের অন্তত ১০০ জন এবং কুলপির ৭০ জন তৃণমূলকর্মী তাদের দলে যোগ দিয়েছেন। শাসক তৃণমূল অবশ্য এতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। তাদের বক্তব্য, যাঁরা জনবিচ্ছিন্ন, তাঁরাই অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন। পঞ্চায়েতে টিকিট পাবেন না বলেই এই দলবদল।

    বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠকের পর গঙ্গাসাগরের ধসপাড়া সুমতি নগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা তৃণমূল নেতা তপন কুমার সর্দার এবং নগেন্দ্রগঞ্জে ৪৪ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি রবিন রুনাথ দাস-সহ অন্তত ৯৮ জন বিজেপিতে যোগ দেন। সোমবারও কুলপির বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান মানস দাস ৭০ জন তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে নিশ্চিন্তপুরে বিজেপি নেতা কৃত্তিবাস সর্দারের হাত থেকে দলের পতাকা তুলে নেন। বিজেপিতে যোগদানের পর মানস বলেন, ‘‘তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে ছিলাম। কিন্তু দল এখন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম।’’

    এই যোগদান নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি প্রদ্যোত বৈদ্য বলেন, ‘‘তৃণমূলের কাটমানি, দুর্নীতি নিয়ে কর্মীরা বীতশ্রদ্ধ। এ ছাড়া দলের পুরনো কর্মীদের সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। তাই অনেকেই তৃণমূল ছাড়ছেন এবং বিজেপিতে আসছেন।’’

    পাল্টা কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার বলেন, ‘‘যাঁদের দলে থাকতে ভাল লাগেনি, তাঁরা দল ছেড়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’’ সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি বাপি হালদার বলেন, ‘‘যাঁরা মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন, তাঁরাই তৃণমূল ছাড়ছেন। এতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না।’’

  • Link to this news (আনন্দবাজার)