• World News : চিনা বিনিয়োগের আশায় তালিবান, কথা দিয়েও পিছু হঠছে বেজিং
    এই সময় | ০৩ অক্টোবর ২০২২
  • গত এক বছরে অনেকটাই বদলে গিয়েছে আফগানিস্তানের (Afghanistan) পরিস্থিতি। মার্কিন সেনারা নিজেদের দেশে ফিরে গিয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আফগানিস্তানের নতুন তালিবান (Taliban) শাসকদের বিদেশি বিনিয়োগের স্বপ্ন দেখিয়েছিল চিন (China)। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবেশী দেশে প্রভাব বিস্তার এবং আফগানিস্তানের খনিজে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এই উৎসাহ দেখিয়েছিল বেজিং (Beijing)। চিনা বিনিয়োগ অর্থনীতির হাল ফেরাবে বলে আশা করেছিল তালিবানও। তবে বছর ঘুরতে চললেও বেজিং থেকে তেমন কোনও বিনিয়োগই পৌঁছয়নি কাবুলে। অন্যদিকে ক্রমশই ভেঙে পড়ছে আফগান অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে শুরু হয়েছে বেজিং-কাবুল দ্বন্দ্ব।

    কী বলছে চিন?

    একের পর এক চিনা সংস্থা আফগাবনিস্তানে এসে বৈঠক করে গিয়েছে। সন্ধান নিয়েছে আফগান খনিজ সম্পদের। কিন্তু এক পয়সাও বিনিয়োগ আসেনি। কেন এমন করছে বেজিং (Beijing) ? চিনের দাবি, তারা নয় আসলে কথার খেলাপ করেছে তালিবানই (Taliban)। চিনের পশ্চিম শিনজিয়ান প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য না করার প্রতিশ্রুতি মানেনি তারা। আফগানিস্তান থেকে দিব্বি সন্ত্রাসে মদত দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগে সুর চড়িয়েছে বেজিং। চিন সরকারের দাবি, তাঁদের একাধিক অনুরোধের পরে East Turkestan Islamic Movement (ETIM)-এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা করেনি তালিবান। বরং আফগান মদতেই চিনের শিনজিয়ান প্রদেশে বাড়ছে ETIM-এর কার্যকলাপ। চিনের শিনজিয়ানের সঙ্গে আফগানিস্তানের প্রায় ৭৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।

    চিনের দাবি মানছে না তালিবান

    বেজিংয়ের তোলা সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগ মানছেন না আফগানিস্তানের তালিবান শাসকরা। তাঁদের দাবি, ETIM-কে তালিবান কোনও সাহায্য করে না। আফগানিস্তানের জমিকেও সন্ত্রাসের আঁতুরঘর হিসেবে ব্যবহার করতে দেয় না তারা । তবে এবছর মে মাসে রাষ্ট্র সংঘের প্রকাশিত রিপোর্ট অবশ্য বলছে অন্য কথা। আফগানিস্তান থেকে ETIM কাজ চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে একাধিক দেশ।

    অন্যদিকে চিনের অন্দরেও উইঘুরদের উপর অত্যাচার, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অভিযোগে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ কোনও দিনই মানেনি চিন। অন্যদিকে পশ্চিমের অধিকাংশ দেশ যখন তালিবানের কারণে আফগানিস্তান থেকে সাহায্যের হাত উঠিয়ে নিয়েছে তখন সেই পথে এগিয়েছিল বেজিং। তবে সেই বন্ধুত্বও এখন বিশ বাঁও জলে। একাধিক বৈঠকের পরেও জট খোলেনি। অন্যদিকে ক্রমেই খারাপ হচ্ছে আফগানিস্তানের অর্থনীতির হাল। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে চিনের বিনিয়োগের অপেক্ষায় থাকা তালিবানেরও।
  • Link to this news (এই সময়)