• মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে জামাইয়ের হাতে খুন শাশুড়ি, চাঞ্চল্য বর্ধমানে
    এই সময় | ০৩ অক্টোবর ২০২২
  • জামাইয়ের হাতে শাশুড়ির খুন হওয়ার অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা বর্ধমানে (Bardhaman)। অভিযোগ, মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে জামাইয়ের হাতে খুন হন শাশুড়ি। মৃতের নাম আজো রাউত। পুলিশের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্ত জামাই সেখ ফিরোজ। আজ, তাকে বর্ধমান আদালতে (Burdwan Court) পেশ করা হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের লোকো কলোনী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বেশ কয়েক বছর আগে সেখ ফিরোজের সঙ্গে বিবাহ হয় বর্ধমানের (Bardhaman) লোকো কলোনীর বাসিন্দা মুসকান বিবির। মুসকানের অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। মুসকানের শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার করা হতো বলে তাঁর দাবি। তাঁর স্বামী তাঁকেও মারধর করতো বলে অভিযোগ। বিষয়টি সে স্থানীয় পার্টি অফিসে জানায়। এমনকি কিছুদিনের মধ্যেই স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে মুসকান ডিভোর্স করার সিদ্ধান্ত নেয়। মুসকান জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁদের মধ্যে ডিভোর্স হওয়ার কথা ছিল।

    এরপর গতকাল রাতে তাঁর স্বামী ফিরোজ মদ্যপ অবস্থায় তাঁর বাপের বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসেই তাঁর অশান্তি শুরু করে বলে জানিয়েছেন মুসকান। মুসকানকে মারধর করা শুরু হয়। দু'জনের বচসার মধ্যে জড়িয়ে পড়েন মুসকানের মা আজো রাউত। মেয়েকে মারের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও আহত হন বলে অভিযোগ। ফিরোজ তাঁকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় আজো রাউতকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Bardhaman Medical College Hospital) নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক আজো রাউতকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

    মুসকান বলেন, "ও আমার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা করতো। স্থানীয় পার্টি অফিসে জানিয়েও কোনও কাজ হুনি। আমাদের মধ্যে ডিভোর্স নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। এরপরেও কালকে মদ খেয়ে বাড়িতে এসে আমায় মারধর করতে থাকে। আমার মা আমায় বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। আমাকে প্রচণ্ড মারধর করতো। কালকেও এরকম ঘটনা ঘটলো। আমি এর বিচার চাই। আমি চাই, ওর ফাঁসি হোক।" গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ (Bardhaman Police)। প্রধান অভিযুক্ত সেখ ফিরোজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ, রবিবার তাকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
  • Link to this news (এই সময়)