স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটি দীর্ঘ দিন ধরেই জীর্ণ অবস্থায় পড়েছিল। প্রতিবেশীরা প্রশাসনের কাছে বার বার অভিযোগ করেছেন যে, সেতুটি যে কোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে। এর পর দিন পাঁচ-ছয়েক আগে সেতু সংস্কারের কাজ শুরু হয়। বুধবার বেলা ১২টার কিছু আগে সংস্কারের কাজ চলার সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে। অভিযোগ, সেতু মেরামতির সময়েও নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। যার জেরেই এই ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তমলুক থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনী।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বিজেপির নেত্রী জয়া দাস নায়েক বলেন, ‘‘৫০ বছরের পুরনো সেতু। স্থানীয়েরা দীর্ঘ দিন ধরেই সেতু সংস্কারের দাবি তুলছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে। তা-ই সত্যি হল। এত দিন পর সংস্কারের কাজ শুরু হলেও কোনও নিয়ম মানা হচ্ছিল না। কোনও প্রোটেশনেশ নেওয়া হয়নি। সেই কারণেই সেতুটি ভেঙে পড়েছে।’’