• ‘‌শরীর খুব খারাপ, কয়েকদিন বিশ্রাম নাও’‌, অভিষেককে ধমক দিলেন মমতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ মে ২০২৩
  • এখন টানা জনসংযোগ কর্মসূচি চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যের নানা জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। মানুষের দুঃখ–দুর্দশা থেকে সমস্যা শুনছেন তিনি। এমনকী নিজের সামর্থ্য মতো উপকারও করে চলেছেন এই সাংসদ। গ্রামীণ মানুষের কাছে তিনি এখন হয়ে উঠেছেন মুশকিল আসান। ভয়ঙ্কর দুর্যোগের মধ্যে কনভয় পড়লেও নিজের কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়াননি। ভাঙা গলা নিয়েও জনসভা করেছেন। এখন একটু শরীরটা খারাপ হয়েছে অভিষেকের। এই খবর পেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি ফোন করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখনই দিয়েছেন স্নেহের ধমক। যা এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    অভিষেককে কী বললেন মমতা?‌ এদিকে আবহাওয়া খুব খারাপ বলে কর্মসূচি কদিন বাদে করতে নির্দেশ দেন তৃণমূলনেত্রী। সে কথা না শুনেই কর্মসূচি জারি রেখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই আসে স্নেহের ধমক। দুর্গাপুরের অধিবেশনে নিজেই সে কথা জানালেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। অভিষেক প্রকাশ্যেই বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘‌নেত্রী ফোন করেছিলেন। উনি বললেন, আবহাওয়া খুব খারাপ। কর্মসূচি দু’‌একদিন বাদে করতে। আর তোমার গলা ভেঙে গিয়েছে, শরীর খুব খারাপ হয়েছে। কয়েকদিন বিশ্রাম নাও। কিন্তু নেত্রীকে আমি বললাম, রাজনীতির ছাত্র হিসেবে যেটা শিখছি, তা আরও শিখতে চাই। তৃণমূলে নবজোয়ার এখন জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে।’

    আর কী বললেন অভিষেক?‌ তবে দলের কর্মীদের তিনি সতর্কও করেছেন। তাঁর কথায়, ‘নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে নয়। আশি বছর আগে একজন বলেছিলেন, দিল্লি চলো। তিনি লড়াই না করলে ইংরেজ সরকার সরত না। আর আজ এক মহিলা বলছেন আশি বছর পরে দিল্লি চলো। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে বলছেন না। তিনি মানুষের অধিকারের স্বার্থে যেতে বলছেন। কাজে মন দিন। কে বিরোধিতা করল। কে কী করল, বলল তাতে মন দেবেন না। মনে রাখবেন মানুষের জন্য কাজ করে যেতে হবে। তবেই আশীর্বাদ মিলবে।’‌

    কেমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক?‌ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে জয়ীদের কি করতে হবে সেটা বাতলে দিয়েছেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‌বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বুথে বুথে ঘুরছেন। দুয়ারে সরকার নিয়ে যাচ্ছেন। আর পঞ্চায়েত প্রধানের অফিসে গেলাম, তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেও দেখা পেলাম না। ফোন করলে পাওয়া গেল না। এই সবের মেয়াদ তাই তিন মাস। যদি ভাবেন ভোটের সময় কাজ করব না। নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে যাব। আবার ভোটের পরে কলকাতার কোনও নেতাকে ধরে ঢুকে যাব সেটা হবে না। তাকে আমার মৃতদেহের ওপর দিয়ে ঢুকতে হবে। যে তৃণমূল কংগ্রেস নিজের জীবনকে বাজি রেখে সিপিএমকে উৎখাত করেছিল সেই তৃণমূল দলের জন্য কাজ করবে। সেটাই নতুন তৃণমূল।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)