• কিচেন গার্ডেন রাখতেই হবে স্কুলে, জায়গা না থাকলেও নো চিন্তা…বিকল্প ভাবনা কলকাতায়
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ মে ২০২৩
  • স্কুলের পাশেই একফালি জমি। সেখানেই দুটো কুমড়োর গাছ, চারটে বেগুন গাছ, লঙ্কা গাছ। স্কুলেরই উৎসাহী শিক্ষকরা শখ করে এই ধরনের গাছ বসাতেন আগে। পরবর্তী সময়ে এই বাগানের পোশাকি নাম হয়ে যায় কিচেন গার্ডেন। এই বাগানের শাতসব্জি পরবর্তী সময়ে মিড ডে মিলের রান্নাতেও কাজে লাগে। আর বর্তমানে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে এই কিচেন গার্ডেন রাখা কার্যত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু যে সমস্ত স্কুলে বাগান করার মতো জায়গা নেই তারা কী করবে?

    শহরের একাধিক স্কুল রয়েছে যেখানে কিচেন গার্ডেন তো দূরের কথা পা ফেলার মতো জায়গা থাকে না। তারা কী করবেন?

    আসলে পিএম পোষন স্কিমের আওতায় এই কিচেন গার্ডেন করা হচ্ছে। কলকাতায় অন্তত ১৭২৮ স্কুলে এই কিচেন গার্ডেন করার জন্য ৮৬.৪ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। মোটামুটিভাবে দুটি মডেলে কাজ করা হচ্ছে। একটি মডেলে যাদের ১০০ বর্গফুটের খোলা জমি রয়েছে তারা সেখানে বাগান করতে পারে। লঙ্কা, ঢেঁড়শ, কুমড়োর চাষ সেখানেই হতে পারে।

    আর যাদের জায়গা কম তারা মাত্র ৭-৮ বর্গফুট জায়গার মধ্য়েই উল্লম্ব বাগান (vertical garden) করতে পারেন। এই ধরনের বাগান করার ক্ষেত্রে স্কুলের দেওয়াল বা পাঁচিলকে বেছে নেওয়া যেতে পারে। সেখানেই বিশেষ পদ্ধতিতে গাছ বসানো যেতে পারে।

    এই বাগানের জন্য প্রতি স্কুল ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পেতে পারে। এমনকী কলকাতা শহরের একাধিক স্কুল যাদের বাগান করার মতো উপযুক্ত জায়গা নেই তারা ছাদে বাগান করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

    এদিকে মূলত শহরে থাকা ছাত্রছাত্রীরা যাতে এই ধরনের বাগান সম্পর্কে জানতে পারে, কীভাবে গাছ বসাতে হয়, কীভাবে তাদের পরিচর্যা করতে হয় এব্যাপারে জানতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই বাগান করার জন্য স্কুলগুলিকে সহায়তা করার জন্য় একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও রয়েছে। সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্কুলের একজন প্রতিনিধিকে প্রশিক্ষণ দেবেন। তিনিই কিচেন গার্ডের তৈরির ব্যাপারে মূল ভূমিকা পালন করবেন। কী ধরনের গাছ বসানো হবে, শাক পাতার গাছ কতটা বসানো হবে সেব্যাপারেও নিয়ম রয়েছে। একদিকে মিড ডে মিলের জন্য প্রয়োজনীয় তাজা সবজির যোগান ও অন্যদিকে বাগান করার মতো বিষয়ের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের যোগসূত্র তৈরি করার উদ্যোগ।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)