কিছু দিন আগেই টাইটলারের কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করিয়েছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের ফরেন্সিক পরীক্ষাগার থেকে বেরিয়ে কংগ্রেস নেতা অবশ্য বলেছিলেন, শিখ বিরোধী দাঙ্গা সম্পর্কিত কোনও মামলায় নয়, অন্য একটি মামলার জন্য তাঁর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।
১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাসে নিজের শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে প্রাণ হারান দেশের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তার পরই দেশের নানা প্রান্তে শিখ-নিধনের ঘটনা ঘটে। সরকারি মতে এই দাঙ্গায় ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যদিও বেসরকারি সূত্রে জানা যায়, মৃতের সংখ্যা ৮ হাজারেরও বেশি। শুধু দিল্লিতেই প্রাণ হারান ৩ হাজার মানুষ। টাইটলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দিল্লির পাল বাঙ্গেশ অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্ররোচিত করেছিলেন তিনি। ওই এলাকায় উত্তেজিত জনতার হামলায় তিন জন শিখ ধর্মাবলম্বীর মৃত্যু হয়। ২০০৪ সালে কংগ্রেসের মনমোহন সিংহ সরকার মন্ত্রিসভায় তাঁকে রাখা হলেও বিতর্ক এবং সমালোচনার জেরে টাইটলারকে পদত্যাগ করতে হয়। বিরোধী দলগুলির আক্রমণে টাইটলারকে নিয়ে বহু বার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে কংগ্রেসকে।