• ১০ বছর বয়সে চোখের সামনে দাদাকে জলে ডুবে মরতে দেখেছি…: জ্যাকি শ্রফ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ মে ২০২৩
  • বলিউডের অন্যতম আইকন জ্যাকি শ্রফ। ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি পরিচিত জগ্গু দাদা নামে। আশি ও নব্বইয়ের দশকের বেশিরভাগ নায়িকাদের চোখে তিনি ছিলেন ‘মোস্ট স্টাইলিশ' নায়ক। পুরুষালি চেহারার জন্য মহিলা ভক্তদের মনে আলাদাই উন্মাদনা ছিল তাঁকে ঘিরে। কিন্তু ছেলেবেলায় কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন বছর ৬৫-র এই তারকা। শুধু আর্থিক অনটন নয়, জীবনে আরও অনেক যন্ত্রণা ছেলেবেলায় সইতে হয়েছিল জ্যাকিকে। 

    মাত্র ১০ বছর বয়সে স্বচোক্ষে দাদার মৃত্যু দেখেছিলেন জ্যাকি শ্রফ। ১০ বছরের জ্যাকির মনে সেই ঘটনা মারাত্মক ছাপ ফেলেছিল। পর্দার হিরো জ্যাকির কাছে জীবনের আসল হিরো তাঁর দাদা। যিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে বন্ধুর প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে জলে ডুবে মারা যান। লহেরেঁ রেট্রো-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিশপ্ত স্মৃতি হাতড়ে জ্যাকি শ্রফ জানান, ‘দয়া-দাক্ষিণ্য আমাদের পরিবারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, অন্যের জন্য আমরা জান দিয়ে দিতে পারি। দাদা বন্ধুর প্রাণ বাঁচাতে জলে ডুবে মারা গিয়েছিল। তখন ওর বয়স সবে ১৭, আমার আমি ১০ বছরের! বন্ধুদের জন্য সব করতে পারত ও, ক'জন পারে বলুন তো? আমিও সেটাই শিখেছি। আমরা চাইলে অন্যকে উষ্ণতা দিতে নিজের বাড়িও জ্বালিয়ে দিতে পারি'। 

    সেই দুর্ঘটনার কথা বলতে গিয়ে জ্যাকি শ্রফ বলেন, ‘ওই ট্রমাটা ভিতরে রয়েই গেছে। সেটা থাকারই কথা। জানি না কোথায় রয়েছে, সেটা আর খুঁচিয়ে বার করতে চাই না। ভালো স্মৃতিগুলোই মনে রাখি। আমি জানি ওই ঘটনা আমার জীবনের অন্যতম ট্রাজিক মুহূর্ত। তবে দুর্ঘটনায় তো কত মানুষই চলে যায়, তাই না?’ এর আগে টুইঙ্কল খান্নার সঙ্গে এক আলাপচারিতায় জ্যাকি জানিয়েছিলেন, ‘ওই অভিশপ্ত দিনে বাবা বারণ করেছিল দাদাকে কাজে যেতে। সেঞ্চুরি মিলে কাজ করত ও। কাজে যায়নি দাদা। তবে বন্ধুকে বাঁচাতে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়েছিল, ও সাঁতার কাটতে জানতে না, তবুও দিয়েছিল’। 

    দাদার অকাল মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল ছোট্ট জ্যাকিকে। একটা সময় বাজির আওয়াজ শুনলেও ভয়ে খাটের নীচে লুকিয়ে পড়তেন তিনি। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অনেকটা সময় লেগেছিল। ভাগ্যচক্রে মডেলিং শুরু করেন তিনি, বাসস্ট্যান্ডে সুদর্শন জ্যাকিকে দেখে মডেলিং-এর অফার দিয়েছিল বিজ্ঞাপন সংস্থায় কর্মরত এক ব্যক্তি। সেই শুরু, আর ফিরে তাকাননি। চারমিনারের বিজ্ঞাপনে জ্যাকি শ্রফের ছবি দেখে মনে ধরেছিল দেবানন্দের। এরপর তিনি ছবিতে সুযোগ দেন। ‘স্বামী দাদা’ ছবিতে ভিলেনের ভূমিকায় পাওয়া গিয়েছিল তাঁকে। পরবর্তীতে সুভাষ ঘাইয়ের ‘হিরো’ ছবি দিয়ে নায়ক জ্যাকির যাত্রা শুরু। বলিউডে তাঁর শেষ রিলিজ ছিল ‘লাইফ ইজ গুড’, আগামিতে তাঁকে দেখা যাবে ‘বাপ’ ছবিতে। 

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)