• রীতি-আচার মেনে কুমারী পুজো বেলুড় মঠে, আরাধনা তারাপীঠ-কামারপুকুরেও
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ অক্টোবর ২০২২
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রীতি মেনে বেলুড় মঠে সম্পন্ন হল মহাষ্টমীর কুমারী পুজো। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক সকাল ৯টা। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে বেলুড় মঠে শুরু হয় কুমারী পুজো। চিরাচরিত প্রথা মেনেই মহাষ্টমীর সকালে বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দের হাত ধরে বেলুড়মঠে দুর্গাপুজোর প্রচলন। সেই থেকেই কুমারী পুজো হয়ে আসছে। প্রথম বছর ৯ জন কুমারী কন্যাকে পুজো করা হয়েছিল বেলুড় মঠে। এখন পাঁচ থেকে সাত বছর বয়সী কোনও একজন কুমারীকেই পুজো করা হয় নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। বেলুড় মঠের কুমারীপুজো দর্শনে প্রতিবছর ভিড় জমান লাখ লাখ মানুষ। পুরাণমতে দেবী দুর্গা কুমারী রূপেই আবির্ভূতা হয়েছিলেন দেবতাদের সামনে। সেই রীতি বহন করেই মহাষ্টমীর সকালে কুমারীপুজোর আয়োজন।

    বেলুড় মঠের পাশাপাশি হুগলির জয়রামবাটি-কামারপুকুর, জলপাইগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশন ও বীরভূমের তারাপীঠেও কুমারী পুজো হচ্ছে। তারাপীঠ মন্দিরের মূল গর্ভগৃহের সামনে যে নাটমন্দির রয়েছে, সেই নাটমন্দিরেই  পূজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দির কমিটি জানিয়েছে, আগে তারাপীঠে কুমারী পুজো করা হতো। কিন্তু মাঝে বেশ কয়েক বছর তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই বছর থেকে আবার কুমারী পুজো শুরু হল। প্রসঙ্গত, তারাপীঠে অন্য কোনও দেবদেবীর পুজো হয় না। সেই কারণে এই ৪ দিন তারামা-কেই দুর্গা রূপে রীতি-আচার মেনে পুজো করা হয়ে থাকে। আয়োজন করা হয়েছে হোম যজ্ঞেরও।

    আরও পড়ুন,

    কথিত আছে, কুমারীপুজো ছাড়া যথাবিধি হোম-যজ্ঞ করেও দুর্গাপুজোর সম্পূর্ণ ফল পাওয়া যায় না। তাই কুমারী পুজো দুর্গাপুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে এক আচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব সারদাদেবীকেই ষোড়শী জ্ঞানে পুজো করেছিলেন। কুমারী পুজোয় কোনও জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভেদ নেই। দেবীজ্ঞানে যে কোনও কুমারী-ই পূজনীয়। কিন্তু সাধারণত ব্রাহ্মণ কুমারী কন্যার পুজোই সর্বত্র প্রচলিত। তবে কোথাও বলা নেই যে, ব্রাহ্মণকন্যাই কেবল পূজ্য। এক্ষেত্রে ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী যে কোনও কুমারী মেয়ের পুজো করা যায়।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)