• Climate Change: প্রবল গরমে হাঁসফাঁস, এবার সূর্যের আলো আটকে দেবে আমেরিকা!
    এই সময় | ০৩ জুলাই ২০২৩
  • বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে বাড়ছে বিপদ। দ্রুত হারে বদলাচ্ছে জলবায়ু। গলতে শুরু করছে মেরু এলাকার বরফ। পাশাপাশি, বাড়ছে ভাইরাসের সংক্রমণ। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে এবার সূর্যালোক আটাকানোর পরিকল্পনা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

    সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেখানেই এই পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়,

    প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ব্যাপারে কী কী পদক্ষেপ করতে পারেন, তারও ইঙ্গিত রয়েছে ওই প্রবন্ধে। চলতি বছরের জুনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে মার্কিন নীতির কথা হোয়াইট হাউসের তরফে ঘোষণা করা হয়। সেখানেই সূর্যালোক আটকানোর বিষয়ে গবেষণার কথা উল্লেখ রয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে এই কাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তাও সেখানে উল্লেখ করেছেন বাইডেন প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা। সূত্রের খবর, বাধ্য়তামূলকভাবে এই গবেষণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউস। "পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বৃদ্ধি মানব সভ্যতাকে বড়সড় ঝুঁকির দিকে নিয়ে চলেছে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে একথা লিখেছেন মার্কিন আধিকারিকরা।

    উল্লেখ্য়, বিশ্ব উষ্ণায়ন ঠেকাতে সূর্যালোক আটকানো সংক্রান্ত গবেষণার অনুমতি পেতে গত বছর মার্কিন কংগ্রেসের থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই অনুমতি দেয় আমেরিকার সংসদ। তবে এই ব্যাপারে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সৌর ভূপ্রযুক্তি বিজ্ঞানীদের এই কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

    কী ভাবে সৌরালোক আসার পরিমাণ কমাবেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা? এই বিষয়ের রূপরেখাও তৈরি করেছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে কৃত্রিমভাবে মেঘ তৈরির চেষ্টা করছেন গবেষকরা। এই মেঘই সৌরালোক ভূপৃষ্ঠে আসা কিছুটা ঠেকাতে পারবে বলে দাবি করা হয়েছে।

    তবে এই গবেষণায় একাধিক সতর্কতা অবলম্বন করছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের স্বাভাবিক ঘনত্ব যাতে কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বায়ুমণ্ডলের এই স্তর দিয়ে বিমান চলাচল করে।

    পাশাপাশি, সূর্যালোকের উপর ভিত্তি করে বর্তমানে বিদ্যুৎ তৈরির দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। দূষণ এড়াতে জীবাশ্ম জ্বালানি অর্থাৎ কয়লা বা খনিজ তেলের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানী। এই গবেষণা ও তার প্রয়োগের ক্ষেত্রে এই বিষয়টির দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।

    সূর্যালোকের পরিমাণ অস্বাভাবিক বেশি কমে গেলে বিদ্যুৎ তৈরিতে প্রভাব পরার আশঙ্কা রয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)