• Pakistan Cconomic Crisis : আর্থিক সঙ্কটের জের! দেশের সরকারি সম্পদ বিক্রির পথে হাঁটল পাকিস্তান
    এই সময় | ০৩ জুলাই ২০২৩
  • আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান। পরিস্থিতি সামলা দিতে এবার সরকারের লক্ষ্য সরকারি সম্পদ বিক্রির উপর। করাচি বন্দরের চারটি টার্মিনাল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকে চুক্তি ভিত্তিতে লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল শাহবাজ শরিফ সরকার। জানা গেছে করাচি বন্দরের চারটি টার্মিনাল ২২০ মিলিয়ন ডলার চুক্তিতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর একটি সংস্থাকে লিজ দিয়েছে।

    চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৫০ বছর বন্দরের টার্মিনালগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ওই সংস্থার হাতে। জরুরি সরকারি তহবিল সংগ্রহের জন্য এই সিদ্ধান্ত বলে ইসলামাবাদের তরফে জানানো হয়েছে। করাচি বন্দরের টার্মিনালগুলি লিজের ব্যাপারে গত বছর প্রস্তাব দিয়েছিল পাক সরকার।

    কিন্তু সেই সময় কেউ এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি। কয়েকদিন আগে বন্ধু দেশ হিসেবে পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরশাহী লিজ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়। অবশেষে সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে আমিরশাহী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে করাচি বন্দরের চারটি টার্মিনাল।

    আর্থিক সঙ্কট থেকে রেহাই পেতে এবং দেশের তহবিল বৃদ্ধিতে সম্প্রতি একটি আইন প্রণয়ন করেছে শাহবাজ শরিফ সরকার। সেই আইন মেনে করাচি বন্দরের চার টার্মিনাল লিজ দেওয়া হল। পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত মাসে করাচি বন্দরের টার্মিনাল হস্তান্তর নিয়ে পাক মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    পাক অর্থমন্ত্রী ইসহার দারের নেতৃত্বে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মন্ত্রিসভার ওই বৈঠক শেষে দেশের বর্তমান আর্থিক সঙ্কট থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য করাচি বন্দর চুক্তি ভিত্তিতে লিজ দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল । আর চুক্তির দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছিলেন পাক অর্থমন্ত্রী। জানা গেছে, করাচি বন্দরের পাশাপাশি আর্থিক সঙ্কট মেটাতে ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক সরকার। লিজ দেওয়ার তালিকায় রয়েছে করাচি ও লাহোর বিমানবন্দরও। বর্তমানে অন্য দেশের বিমানবন্দর ব্যবহারের জন্য পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের অনেক বকেয়া বাকি পড়ে গেছে।

    পরিস্থিতি যা, বকেয়া না মেটালে পাক বিমানের উপর জারি করা হতে পারে নিষেধাজ্ঞা। ঋণের দায়ে গত মে মাসে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমানকে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল মালেশিয়ার একটি আদালত । এমন পরিস্থিতিকে ঋণের সমস্যা মেটাতেই বিমানবন্দরগুলি লিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদেশি ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের উপর একাধিক শর্ত চাপিয়েছে আইএমএফ। অর্থনীতি সংস্কারের জন্য পাকিস্তানকে পরামর্শও দিয়েছে বন্ধু দেশগুলি। এমন পরিস্থিতিতে আইএমএফের শর্ত মেনে এবার সরকারি সম্পদ বিক্রির পথে হাঁটছে শাহবাজ শরিফ সরকার।
  • Link to this news (এই সময়)