• ৩ কোটি ব্যয়ে কাটোয়ায় অজয়ের পাড় বাঁধানো শুরু
    বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া : বর্ষার আগে ৩ কোটি টাকা খরচ করে কাটোয়ার শাঁখাই ঘাট এলাকায় অজয়ের পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হল৷ পাথর দিয়ে স্থায়ীভাবে পাড় বাঁধানো কাজ করছে দামোদর ক্যানেল ডিভিশন। ওই এলাকায় অজয় ও ভাগীরথী মিশেছে। ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে কয়েক বছর ধরে। বর্ষায় জল বাড়লেই অজয়ের ভাঙন শুরু হয় ভয়ানক ভাবে।

    সেচ দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, কাজ খুব দ্রুত চলছে। বর্ষায় নদীর জল বাড়ার আগেই কাজ শেষ হবে। পাকাপোক্তভাবে কাজ করা হচ্ছে। এই এলাকায় ভাঙনের সমস্যা আর থাকবে না।

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার শাঁখাই ঘাট থেকে কদমতলা পর্যন্ত ১২০০ মিটার অজয়ের পাড় সংস্কার করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ধাপে পার বাঁধানোর কাজ চলছে। একদম নীচে জলের কাছে নাইলন ক্রেট দিয়ে বালির বস্তা দেওয়া হয়েছে। তার উপর ৩ মিটার চওড়া বোল্ডারের একটি স্তর(অ্যাপ্রন) থাকছে। তার উপর থাকবে বোল্ডার টো। শেষে জিও ফিল্টার দিয়ে বোল্ডার প্যাচিং করা হচ্ছে। জিও ফিল্টারে যে চট নদীর পাড়ে পাতা হচ্ছে, তাতে জল লেগে পাড়ের মাটি ক্ষয় অনেকটা রোধ হবে। দু’ কোটি ৯৬ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা খরচ করে পাথর দিয়ে বাঁধাই করলে জলের ধাক্কা থেকে রেহাই মিলবে নদীর পাড়। প্রশাসনের এক অফিসার জানান, অজয় কয়েকবছর ধরে যেভাবে পাড় ভাঙছিল তাতে পাথর দিয়ে কাজ করায় এবার মজবুত হবে। কাটোয়ার শাঁখাই ঘাট এলাকায় ২০১৭ সাল থেকে অজয়ের ভাঙন শুরু হয়েছে। কাটোয়ার দিকে অজয়ের পাড় যেভাবে ভাঙছিল তাতে কাটোয়ার দিকে অজয় আরও সরে আসার আশঙ্কা ছিল। গত কয়েকবছর ধরে প্রায় ৫ ফুটের বেশি ভাঙতে শুরু করে। শাঁখাই কংক্রিটের জেটি ঘাটটিও ভাঙনের কবলে পড়ে ভেঙে যায়৷ স্থানীয় বাসিন্দারা বার বার জেটি সংস্কারের দাবি তুললেও তা করা হয়নি সেভাবে। মাঝে সেচদপ্তর থেকে শাল বল্লা দিয়ে ভাগীরথীর দিকে কিছুটা অংশে বালির বস্তা ফেলা হয়েছিল। ভাঙন রোধের চেষ্টা হয়েছিল। তাতেও ঠেকানো যাচ্ছে না বলেই অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের৷ আরও জানা গিয়েছে, কাটোয়া থেকে কেতুগ্রাম ২ ব্লক মূল যাতায়াত করতে হয় শাঁখাই ফেরিঘাট দিয়ে। বছর খানেক আগে শাঁখাই স্থায়ী ফেরিঘাটটি জলের চাপে ভেঙে পড়েছে। তারপর থেকে আর নতুন করে সেটি সংস্কার করা হয়নি। তার বদলে পাশেই বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী ফেরিঘাট তৈরি করে নিয়েছেন নৌকাচালকরা। সেই বাঁশের কাঠামো দিয়েই ঝুঁকির সঙ্গে যাত্রীদের নৌকায় উঠতে হয়। বর্ষাকালে এলাকায় জল থাকায় কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাও মোটর বাইক থেকে শুরু করে টোটো পর্যন্ত নৌকায় চাপাতে হিমশিম খেতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সারা দিনে কয়েকশ যাত্রী ওই এলাকা দিয়েই পারাপার হয়। সেই ফেরিঘাট এখনও স্থায়ী ভাবে তৈরি করা হল না।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)