• সব্জি অগ্নিমূল্য: আজ থেকে রাস্তায় রাজ্যের টাস্ক ফোর্স
    বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সব্জির অগ্নিমূল্য সাধারণ মানুষকে ভীষণ বিপাকে ফেলেছে। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যেও স্থিতিশীল রয়েছে খুচরো বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম। এটাই মানুষকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য সব্জির অগ্নিমূল্যের কারণে আলু ও পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিত্যপ্রয়োজনীয় এই দু’টি সব্জির দাম বৃদ্ধির বিশেষ সুযোগ নেই। মনে করছেন কৃষি বিপণন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। আলু-পেঁয়াজের দাম চড়া হলে সব্জির দর আরও ঊর্ধ্বমুখী হতো। মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। 

    পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা আজ, মঙ্গলবার থেকে রাস্তায় নামছেন। তাঁরা বাজার ঘুরে জিনিসের দাম নিয়ে খোঁজখবর নেবেন। শিয়ালদহে সব্জির পা‌‌‌‌‌ইকারি মার্কেট থেকে শুরু করে শহরের কয়েকটি খুচরো বাজারে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা যাবেন। সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে সরকারি সুফল বাংলার স্টল থেকে কিছুটা ভর্তুকি দিয়ে কয়েকটি সব্জি বিক্রি শুরু হয়েছে। করলা, বেগুন, পটোল ও টম্যাটো—এই চারটি সব্জি পাইকারি ক্রয়মূল্যের থেকে কিছুটা কম দামে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুফল বাংলার স্টলে অন্যান্য সব্জির দামও খুচরো বাজারের থেকে অনেকটা‌ই কম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী সভায় বলেন, সাড়ে চারশোর বেশি সুফল বাংলা স্টলে সব্জির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সোমবার ক্যানিং থেকে ফেরার পথে ভাঙড়ের পাগলাহাট বাজারে হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে সব্জির অগ্নিমূল্য সম্পর্ক খোঁজখবর করেন। 

    খুচরো বাজারে পটোল, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙে, বেগুন, টম্যাটো প্রভৃতির দাম কেজিতে ৭০-৮০ থেকে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেখানে খুচরো জ্যোতি আলু ২০-২১ টাকা ও পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকার মধ্যে রয়েছে। পাইকারি বাজারে দাম স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান লালু মুখোপাধ্যায় জানান, হিমঘরে সংরক্ষিত ৫০ কেজি আলুর প্যাকেটের বন্ড ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হিমঘরের ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মিটিয়ে প্রতি প্যাকেটের দাম পড়ছে ৭০০-৭৫০ টাকা।  সেই অনুযায়ী, কলকাতার খুচরো বাজারে দাম ঠিকই আছে বলে পাইকারি ব্যবসায়ী মহলের দাবি। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা  ফাটকাবাজি করে দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করেননি বলে লালুবাবুর দাবি। তবে সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে’র মতে ব্যবসায়ীরা আলুর দাম বাড়ানোর অবস্থাতেই নেই। কারণ, এখানকার আলুর দাম বেশি বাড়াতে গেলেই তার থেকে কম দামে উত্তরপ্রদেশের আলু বাজারে ঢুকে যাবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)