• মূল্যবৃদ্ধিতে দিশাহারা! জনতার দ্বারস্থ কেন্দ্র
    বর্তমান | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • নয়াদিল্লি: ২০২১ সাল থেকে টানা দাম বাড়ছে রান্নার গ্যাসের। পেট্রল গত এক বছর ধরে ১০৬ টাকায় দাঁড়িয়ে। সব ডালের দাম সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। ভোজ্যতেলের দাম ২০২২ সালে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছিল। এখন সব্জির বাজার আগুন। কেন্দ্রের মডেল প্রাইস বলছে, টম্যাটোর দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা। সেখানে সোমবারও দিল্লিতে পাইকারি দর গিয়েছে ৯০-১২০ টাকা। খুচরো বাজারে বিকিয়েছে ১৪৩ টাকায়। কলকাতাতেও ৯০-১০০ টাকা কেজি দামে টম্যাটো বিক্রি হয়েছে পাইকারি বাজারে। চড়া দরে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। লাগাতার এই মূল্যবৃদ্ধির দাপটে কেন্দ্রও কি খুব স্বস্তিতে আছে। একেবারেই না। ঠিক এই কারণেই আম জনতার সামনে হাত পাততে হচ্ছে তাদের। কারণ, এই রোগমুক্তির দাওয়াই নেই সরকারের হাতে। বাধ্য হয়ে মানুষের থেকে চাওয়া হচ্ছে পরামর্শ—কীভাবে দাম কমানো যায়? এব্যাপারে তাদের প্রাথমিক টার্গেট অবশ্য টম্যাটো। বাজারে এই সব্জিকে সস্তা এবং বছরভর সহজলভ্য করে তুলতে উপভোক্তা মন্ত্রক আয়োজন করেছে ‘গ্র্যান্ড টম্যাটো চ্যালেঞ্জ’-এর। পড়ুয়া, গবেষক, অধ্যাপক, সংস্থা, স্টার্ট-আপ কিংবা পেশাদার, যে কেউ দু’মাসের মধ্যে এব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারবে সরকারকে। ততদিন চড়া বাজারদরের কী হবে? কেউ জানে না!

    মূল্যবৃদ্ধি রোধে সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে—এমনটাই আশা করে থাকে জনতা। কিন্তু এবার মানুষকেই সমস্যা সমাধানের উপায় বের করে সরকারকে বাঁচাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে এমন উলটপুরাণ দেখে অবাক গোটা দেশ। এমনিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জনমতের খুব একটা তোয়াক্কা না করলেও কেন্দ্রীয় উপভোক্তা সচিব রোহিত কুমার সিং ব্যতিক্রম। তাঁর দাবি, এর আগে বাজারে পেঁয়াজের দর অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় এভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ বা নতুন আইডিয়া চাওয়া হয়েছিল। সেই উদ্যোগ কমবেশি সফল। দাম নিয়ন্ত্রণে ১৩টি আইডিয়া পেয়েছিল সরকার। তাই টম্যাটোর ক্ষেত্রে এই চ্যালেঞ্জ যথেষ্ট কার্যকরী হবে বলেই মনে করেন রোহিত।

    যদিও টম্যাটোর দাম এখনই কমবে না বলে মনে করেন বাংলার সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে। সাফ জানিয়েছেন, আরও মাসখানেক বেশি দামেই আম আদমিকে টম্যাটো কিনতে হবে। সরকারের কিছুই করার নেই। এর প্রধান কারণ, পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশের ১৮টি রাজ্যে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বছরে ১০ মাস টম্যাটো ফললেও সারা বছর তা টাটকা রাখা যায় না। ফলে দামও বাড়ে।

    কিন্তু এ তো গেল শুধু পেঁয়াজ কিংবা টম্যাটোর কথা। কিন্তু রান্নার গ্যাস, পেট্রল, ডালের আকাশছোঁয়া দামের কী হবে? সেক্ষেত্রেও কি জনতার দ্বারস্থ হবে মোদি সরকার? নিন্দুকরা যদিও বলছেন, ভালো কাজের প্রশংসা করাই উচিত। কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার সময় কি কখনও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষকে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে? মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়! 
  • Link to this news (বর্তমান)