• West Bengal Election 2023 : প্রত্যেক বুথেই কি কেন্দ্রীয় বাহিনী, স্পষ্ট নয় এখনও
    এই সময় | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • এই সময়: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগমন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটল। তবে ভোটের চারদিন আগেও সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট হলো না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অনুরোধ মেনে আগেই কেন্দ্র ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর কথা জানিয়েছিল। যার একটা বড় অংশ ইতিমধ্যে এসেও গিয়েছে।

    এরই মধ্যে সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা চলাকালীন বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বলে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। আজ, মঙ্গলবার থেকেই এই বাহিনী রাজ্যে আসতে শুরু করবে। বাহিনী আসার খবর পেয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিনের জন্য রায়দান স্থগিত রাখে। ঠিক হয়, চাহিদা মতো সব কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়ার পরে কোথায়, কী ভাবে তাঁদের মোতায়েন করা হবে, তা নিয়ে আজ, মঙ্গলবার আদালতে কমিশনকে বিস্তারিত জানাতে হবে।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশন অবশ্য বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের প্রসঙ্গটি এখনও স্পষ্ট করছে না। তবে বুথে সশস্ত্র পুলিশই যে রাখা হবে সে তথ্য আদালতকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, যে সমস্ত স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে সেখানে অতিরিক্ত সশস্ত্র পুলিশ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ভোটের দিন অশান্তি মোকাবিলায় মোবাইল ইউনিটকে শক্তিশালী করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

    কমিশনের যুক্তি,ভোটের সময় বুথের চেয়েও গ্রামে গোলমাল বেশি হয়। ফলে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য একদিন আগে থেকেই সশস্ত্র পুলিশ দিয়ে এলাকায় টহলদারি জরুরি। সেজন্য ২১ হাজার ২৫০ সশস্ত্র পুলিশ দিয়ে ৮ হাজার ৫০০টি শক্তিশালী মোবাইল ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। এমনিতেই ভোটের সময় প্রতিটি বুথ চত্বরে ১৪৪ ধারা থাকবে বলেও ঠিক হয়েছে।

    এছাড়া ভোটের কাগজ পত্র দেওয়ার জন্য ডিসিআরসি অফিস, স্ট্রং রুম এবং গণনা কেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র পুলিশ প্রয়োজন হওয়ায় সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করতে চায় কমিশন। এসবের বাইরে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের সময় বুথের বাইরে ভোটারদের লাইন নিয়ন্ত্রণ করা এবং নাকা চেকিং-এর সময় সশস্ত্র পুলিকে সাহায্য করতে ব্যবহার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। আদালতকে সেই তথ্য জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।

    সূত্রের খবর, চাহিদা মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়ার পরে বুথে তাঁদের ব্যবহার করা নিয়ে যে রাজনৈতিক চাপ তৈরি হয়েছে তা কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে তার কৌশলও তৈরি করেছে কমিশন। দেখা গিয়েছে, মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে বিএসএফ, সিআরপিএফএ ছাড়াও ২০ রাজ্যের ২৭৭ কোম্পানি সশস্ত্র পুলিশ রয়েছে। এমনকী, বিতর্ক এড়াতে চার বন্ধু রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব থেকে আসা ৮০ কোম্পানি অর্থাৎ প্রায় ৬,৪০০ সশস্ত্র পুলিশকে স্পর্শকাতর বুথে ব্যবহার করার প্রস্তাব বিবেচনা করছে কমিশন। এ ব্যাপারে নবান্নর অবশ্য কোনও আপত্তি নেই।

    কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি,বুথে সশস্ত্র পুলিশ ব্যবহার করা হলেও তা কেন্দ্রের না রাজ্যের সেই ফারাক দেখা হবে না। রাজ্যে ৪৪,৩৮২ টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ৬১,৬৩৬ বুথ রয়েছে। স্পর্শকাতর সহ প্রতিটি বুথে একজন করে মোট ৬৫,৮২০ জন সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৭০ হাজার সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ পাওয়া গিয়েছে। যাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই বিভিন্ন জেলায় চলে গিয়েছেন। আদালতকেও সে কথা জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। কেন্দ্রের কাছ থেকে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী মেলায় হিসেব মতো প্রায় ৬৫ হাজার সশস্ত্র পুলিশ পাওয়া যাবে।
  • Link to this news (এই সময়)