• Shocker in US college : ছাত্রীদের পোশাক খোলার নির্দেশ! অভিযোগে বরাখাস্ত মার্কিন অধ্যাপক
    এই সময় | ০৪ জুলাই ২০২৩
  • কলেজে ক্লাস পরিদর্শনের সময় ১১ জন ছাত্রীকে শার্ট খুলে ফেলার নির্দেশের অভিযোগ উঠল এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার মন্টগোমারি কলেজে।

    আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যম তাঁর প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৯ সালে। কিন্তু সম্প্রতি সেই খবর জানাজানি হয়। এরপরেই মহিলা পড়ুয়াদের শার্ট খুলে ফেলার নির্দেশিকা নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শুরু হয় তদন্ত। প্রায় তিন মাসের বেশি সময় তদন্তের পর ওই শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

    বর্তমানে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী ওই ১১ জন পড়ুয়া পরীক্ষার সময় পোশাকের উপর ল্যাব-জ্যাকেট পরে ছিলেন। এই সময় অভিযুক্ত ওই অধ্যাপক ল্যাব-জ্যাকেট খুলে ফেলার নির্দেশ দেন।

    সেই সঙ্গে জ্যাকেট পরার জন্য বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে মার্কিন শিক্ষা দফতরের কাছে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

    তদন্তে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ওই অধ্যাপককে বরখাস্ত করা হয়েছে। যদিও তদন্ত রিপোর্টে অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। উপযুক্ত তদন্তের জন্য সন্তোষপ্রকাশ করেন মন্টগোমারি কলেজের একজন মুখপাত্র। সেই সঙ্গে অভিযুক্তের বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন তিনি।

    তদন্তের রিপোর্ট তুলে ধরে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে অধ্যাপকের বিরূপ মন্তব্যের জন্য ভুক্তভোগী পড়ুয়াদের একজন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিলেন। হয়ারানির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও পরে ওই পড়ুয়াকে নতুন করে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হয় বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে।

    মহিলা পড়ুয়ারদের প্রতি বিরূপ মন্তব্যের জন্য অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কেন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হন না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কেন অধ্যাপকের নাম প্রকাশ করা হয়নি, তা নিয়েও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। অধ্যাপকের আচরণের নিন্দা করে সরব হয়েছেন কলেজের শিক্ষা কমিটির সভাপতি উইল জাভান্দো।

    ঘটনার প্রায় চার বছর পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে, অভিযুক্ত অধ্যাপকের নাম প্রকাশ্যে আনা উচিত ছিল বলে মনে করছেন শিক্ষা কমিটির সভাপতি।
  • Link to this news (এই সময়)