• দেশ ও জাতিভাগের চেষ্টা হচ্ছে তীব্র আক্রমণ মমতার
    বর্তমান | ০৫ জুলাই ২০২৩
  • সুখেন্দু পাল, আউশগ্রাম: বিজেপি সহ বিরোধীরা দেশ ও জাতি ভাগের চেষ্টা করছে বলে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবে বিরোধীদের বিঁধলেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন সন্ধ্যায় আউশগ্রামের গোপীনাথবাটি গ্রামে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সভা ছিল। তৃণমূল নেত্রী অরূপবাবুর মোবাইলে ফোন করে উপস্থিত জনতার সামনে বক্তব্য রাখেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি ও মুসলিমদের একটি দল আছে। তারা এপার্টি, ওপার্টি, না দোপার্টি। ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছে। দেশ ভাগের চেষ্টা করছে। জাতি ভাগের চেষ্টা করছে।’ এদিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সভা ছিল। সেই সভায় মুখ্যমন্ত্রী ফোনের মাধ্যমে আচমকা ভাষণ দেওয়ায় দলের কর্মী-সমর্থকদের আলোড়ন পড়ে যায়।

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিপিএমের অত্যাচারের কথা মানুষ ভুলে যায়নি। ওরা মানুষের মাথা নিয়ে ফুটবল খেলেছে। বিজেপি মানুষের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছে। পেট্রল, ডিজেল, গ্যাসের দাম ওরা বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষ খাবে কী? ওদের একটিও ভোট দেবেন না। মণিপুরে জাতি ভাগ করতে গিয়ে কী অবস্থা হয়েছে, সেটা আপনারা দেখেছেন। মণিপুর জ্বলছে। নরেন্দ্র মোদির সেখানে এক মিনিটের জন্য যাওয়ার সময় হল না। উনি আমেরিকা যাচ্ছেন। কিন্তু মণিপুর যাচ্ছেন না। তিনি বলেন, নির্বাচন এলেই ওরা ডবল ইঞ্জিনের কথা বলে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়।

    কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য কৃষকদের অবস্থাও খারাপ হয়েছে বলে তৃণমূল নেত্রী আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বীজ ও সার নিয়ে চাষিরা সমস্যায় রয়েছেন। পাঞ্জাব সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখানে সার কারখানা করা যায় কি না, তা দেখা হচ্ছে। কৃষকদের পাশে আমরা রয়েছি। তাঁদের জন্য কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

    ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে রাখায় এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, বিজেপি আমাদের রাজ্যের মানুষের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে। সেই টাকা আমরা ছিনিয়ে আনবই। আমরা কারও কাছে মাথা নত করি না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার চিন্তা করার আপনাদের দরকার নেই। সেই দায়িত্ব আমার উপর ছেড়ে দিন। মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষিত হোক। সমস্ত মায়েরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। ৬০ বছর পর তাঁরা এক হাজার টাকা করে পাবেন। যতদিন বাঁচবেন ততদিনই তাঁরা এই টাকা পাবেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে সব কথা দিয়েছিলাম সবটাই রেখেছি। আগামী দিনেও আপনাদের জন্য কাজ করব। আমাদের সরকার আপনাদের পরিবার।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)