• Kabul Attack : ফের রক্তাক্ত কাবুল, শিক্ষাঙ্গনে বোমা বিস্ফোরণে মৃত ৪৬ ছাত্রী
    এই সময় | ০৪ অক্টোবর ২০২২
  • ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার ফের রক্তাক্ত হল আফগান মুলুক। সোমবার কাবুলের একটি স্কুলে বোমা বিস্ফোরণে ৫৩ জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এর মধ্যে ৪৬ জন ছাত্রী। পশ্চিম কাবুলে শহিদ মাজারি রোডের পুল-ই-সুখতা এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে।

    বিস্ফোরণে প্রায় ১১০ জন জখম হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে জোড়া হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁচেছে বলে টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে।

    এর আগে গত শুক্রবার অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর জুম্মার নমাজের সময়, রাজধানীর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১০০ জনের বেশি পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রাপ্ত খবরে জানা যায়। জখম হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত পড়ুয়াদের মধ্যে অধিকাংশ ছিল হাজারা ও শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের।

    গত শুক্রবারের বিস্ফোরণের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন আফগান সাংবাদিক বিলাল সারওয়ারি। সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিয়োটিতে বিস্ফোরণের পর দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ছিন্নভিন্ন অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। জখমদের রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ছবিও দেখা গেছে ভিডিয়োটিতে।

    আফগান পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছিলেন, হতাহতরা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্নাতক। তাদের মধ্যে ছাত্রী ও ছাত্রী উভয়ই ছিল। তারা বিস্ফোরণের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। হামলার দায় কোনও সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়নি বলে জানান আফগান পুলিশের ওই মুখপাত্র। তবে, ঘটনার পিছনে জঙ্গি সংগঠন আইসিসের হাত রয়েছে বলে অনুমান করা হয়।

    গত এপ্রিল মাসে কাবুলের এই দাশত-ই-বারচি এলাকায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। বিস্ফোরণে ২০ জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল। মৃতরা সকলেই ছিল শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত। মোট পাঁচ জনের একটি দল এই হামলা চালিয়েছিল হলে কাবুল প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ঘটনায় পড়ুয়াদের সঙ্গে দুই আত্মঘাতীরও মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষও। ২০২১ সালের আগস্টে আশরাফ গণি সরকারকে হটিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেয় সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। তাদের দাবি, আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। তালেবান সরকারের ক্ষমতায় বসার পর রাজধানী সহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। স্কুলের পাশাপাশি মসজিদেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
  • Link to this news (এই সময়)