• অভিষেকের 'স্বস্তি', 'বিড়ম্বনা' বাড়ল শুভেন্দুর! হাইকোর্টের বড় নির্দেশ
    এই সময় | ২০ জুলাই ২০২৩
  • একই দিনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কিত মামলায় বড় দু'টি নির্দেশ আদালতের। আগামী সোমবার পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার সংক্রান্ত কোনও মামলায় কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না, নির্দেশে আদালতের। ওইদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত যাবতীয় নথি ও তথ্য প্রমাণ আদালতে পেশ করতে হবে। ইডির এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে মামলা করেন, সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ তার শুনানি হবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে।

    আদালত বলে, 'আমরা জানতে চাই ইডির কাছে তাঁকে গ্রেফতার করার কারণ আছে কি না। আমরা স্পষ্ট হতে চাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরার দরকার আছে কি না।' এই বিষয়ে ইডির আইনজীবী বলেন, 'বেআইনি শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ইডি তাঁকে কবে ডাকার পরিকল্পনা করেছে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তাকে গত ১০ জুন ডাকা হয়েছিল। তিনি ভোটের ব্যস্ততার কথা বলে আসেননি। আমাদের কাছে ২৬ জুন কিছু নথি পাঠিয়েছিলেন। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' এর পরেই আদালত নির্দেশ দেয়, আগামী সোমবার পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না এবং ওইদিনই সমস্ত নথি আদালতে পেশ করতে হবে।

    শুভেন্দুর ক্ষেত্রে যে নির্দেশ... এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে গেলে আর আদালতের অনুমতি নিতে হবে না, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গলবেঞ্চের রায় খারিজ করে এমনটাই নির্দেশ বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের। পুলিশ চাইলে যে কোন কগনিজেবল অফেন্সে এফআইআর করতে পারে। তবে একইসঙ্গে আদালত এও জানিয়ে দিয়েছে, এফআইআর করার ক্ষেত্রে আগে অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ শুধুমাত্র বিরোধী দলনেতাকে হেনস্থা করার উদ্দেশ্য নিয়ে যেন কোনও এফআইআর করা না হয়। এক জনস্বার্থ মামলায় এই নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। পাশাপাশি এই জনস্বার্থ মামলার ক্ষেত্রে, অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে পুলিশ রিপোর্ট তৈরি করে ডিজিকে পাঠাবে। ডিজি সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আদালতকে জানাবে। তারপর যদি আদালত অনুমতি দেয়, সেই ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা যাবে।

    প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ থেকে আইনি রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৬টি এফআইআরের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে, এমনকী সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছিল রাজ্য। ডিভিশন বেঞ্চ প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। তাই রাজ্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট আবার হাইকোর্টেই ফিরিয়ে দেয়। সেটি এখনও বিচারাধীন। এরই মাঝে নতুন করে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন সুমন সিং নামে এক আইনজীবী। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ।
  • Link to this news (এই সময়)