• নিয়োগ দুর্নীতিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে জেরা সিবিআইয়ের, তলব করণিককেও
    বর্তমান | ২৫ জুলাই ২০২৩
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়  কাটোয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার মধ্যেই ওই স্কুলের করণিককেও তলব করল সিবিআই।  দুর্গাদাসী চৌধুরাণী উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কবিতা সরকার। তাঁকে সোমবার প্রায় দু’ঘন্টা ধরে জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারপরেই স্কুলের করণিক বিজন সাহাকেও নোটিস ধরানো হয়। খবরটি চাউর হতেই শোরগোল পড়েছে কাটোয়া শহরজুড়ে।  

    জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের নোটিস পেয়েই বিজনবাবু কলকাতায় নিজাম প্যালেসের উদ্দ্যেশে রওনা দিয়েছেন। তিনি এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ সিবিআই এর মুখোমুখি হয়েছেন বলে খবর। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম কোনও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে তলব করা হল।জেরার পর কবিতাদেবীকে বিকেল নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের  সময়  স্কুলের বেশকিছু নথিপত্র দেখিয়ে তাতে অসঙ্গতি রয়েছে বলে কবিতাদেবীকে জানান সিবিআই কর্তারা। কেন অসঙ্গতি, সেটাও জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। তখন প্রধান শিক্ষিকা করণিক বিজনকুমার সাহার নাম করেন। তদন্তকারীদের তিনি জানান, স্কুলের অফিসিয়াল বিষয়টি বিজনবাবু দেখেন। তিনিই ভালো বলতে পারবেন। কবিতাদেবীর সামনে থেকেই এক আধিকারিক বিজনবাবুকে ফোন করে সিবিআই দপ্তরে দেখা করতে বলেন। সেই মতো তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। কবিতাদেবীকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। 

    বিজনবাবু  জানান, ২০২১ সালে ফ্রেব্রুয়ারি মাস নাগাদ স্কুলের ই-মেলে একটি নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছিল। জয়রামবাটির বাসিন্দা একজনকে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেওয়ানোর কথা বলা হয়েছিল ওই নিয়োগপত্রে। যদিও ওই চাকরিপ্রার্থী কিংবা তাঁর অভিভাবক স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। দু’ সপ্তাহ আগে ওই নিয়োগপত্রের বিষয়টি নিয়ে সিবিআই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে তলব করে। পাশাপাশি কিছু নথি পাঠাতে বলাও হয়। সেগুলি পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছিল। নথিপত্র দেখে সিবিআই প্রধান শিক্ষিকাকে তলব করে। 

    বিজনবাবু জানিয়েছেন, সাধারণত কোনও চাকরিপ্রার্থী শিক্ষক পদে যোগ  দেওয়ার আগে  স্কুলে দু’টো চিঠি আসে। একটি হল ‘রেকমেন্ডেশন লেটার’। অন্যটি ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার’। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চাকরিপ্রার্থী ওই মহিলার নামে শুধুমাত্র একটি নিয়োগপত্র ই-মেল করা হয়েছিল। কোনও ‘রেকমেন্ডেশন লেটার’ আসেনি। তাছাড়া আমাদের স্কুলে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষকপদ তখন খালিও ছিল না। কারণ, ২০২১ সালের আগেই কাটোয়ার একজন ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষিকা চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। এখনও আমাদের স্কুলে ইংরেজি শিক্ষিকার পদ খালি নেই। আমি তদন্তকারীদের পূর্ণ সহযোগিতা করব।  
  • Link to this news (বর্তমান)