• ঘাসফুলকে হারিয়েই শাসকদলে বিজেপির প্রার্থী, বাগদায় ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত তৃণমূলের
    বর্তমান | ২৬ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: গণনার ফল অনুযায়ী, বাগদার রণঘাট পঞ্চায়েত ছিল ত্রিশঙ্কু। মঙ্গলবার বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছল শাসকদল। বিজেপি সদস্য রুমা মণ্ডলের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস।

    বাগদা ব্লকের রণঘাট পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ৩০। তার মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ১৫টিতে, বিজেপি ১২টিতে এবং সিপিএম ৩টিতে। অর্থাৎ কোনও দলই বোর্ড গড়ার স্পষ্ট জনাদেশ পায়নি। এর মধ্যে এই পঞ্চায়েতের ডহরথুবার ১২ নম্বর বুথ থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন রুমা মণ্ডল। তিনি এদিন ‘ফুল’ বদল করায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল। আসলে এই রুমা পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলেই ছিলেন। ঘাসফুলের টিকিট না পাওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে পদ্মফুলের প্রার্থী হয়েছিলেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভোটের আগে বলেছিলেন, যাঁরা প্রার্থীপদের দাবিতে দল ছেড়ে অন্য দলে ভিড়েছেন, তাঁদের ভবিষ্যতে কোনওভাবেই দলে ফেরানো হবে না। রুমা মণ্ডলের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে আকৃষ্ট হয়েই আমি তৃণমূলে ফিরে এসেছি। দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, দরজা খুলে দিলে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে। তবে আমরা সবাইকে দলে নেব না। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সব কিছু করা হবে।

    এদিকে, বিজেপির টিকিটে জেতা পঞ্চায়েত সদস্যের তৃণমূলে যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ পদ্মশিবির। বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দল ভাঙানোর খেলায় নেমেছে তৃণমূল। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)