• Anju Father : পাকিস্তানে গিয়ে মুসলিম ধর্ম নিয়ে প্রেমিককে বিয়ে ২ বাচ্চার মায়ের! মেয়েকে ত্যাজ্য করলেন হিন্দু বাবা
    এই সময় | ২৭ জুলাই ২০২৩
  • ফেসবুকে পাকিস্তানের এক যুবকের সঙ্গে আলাপ। এরপরেই স্বামী এবং সন্তান ছেড়ে কাঁটাতার পেরিয়ে পাকিস্তানে পাড়ি দিয়েছেন রাজস্থানের অঞ্জু। তাঁর স্বামী অরবিন্দ এবং দুই সন্তান এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না এই ঘটনার কথা।

    জানা গিয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে পাকিস্তানের নাসরুল্লার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল অঞ্জুর। প্রথমে তাঁদের আলাপ হয়, এরপর তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নাসরুল্লার টানে কাঁটাতার পেরিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন অঞ্জু। প্রথমে নাসরুল্লা দাবি করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ভালোবাসার কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও এই দাবির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নয়া তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, অঞ্জু পাকিস্তানে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। তাঁর নতুন নাম ফতিমা। এরপর নাসরুল্লার সঙ্গে নিকাহ করেছেন তিনি।

    এই ঘটনা সামনে আসার পর শোরগোল পড়ে যায়। এদিকে ভারতের অঞ্জুরকাণ্ডে রীতিমতো লজ্জায় পড়েছে তাঁর পরিবার। অঞ্জুর বাবা গয়া প্রসাদ থমাস দাবি করেছেন, তাঁর মেয়ে পরিবারের জন্য মৃত।

    তিনি মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিওরের বউনা জেলার বাসিন্দা। তিনি বলেন, "দুই সন্তান এবং স্বামীকে রেখে ও যেভাবে পালিয়ে গেল এরপর আর ওকে নিজের মেয়ে বলে পরিচয় দিতে চাই না। ওর যদি এই কাজটাই করার ছিল সেক্ষেত্রে সবার আগে ওর স্বামীকে আইনত ডিভোর্স দেওয়া উচিত ছিল। এবার থেকে মনে করব আমাদের মেয়ে মৃত।"

    মেয়ের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "ওর সন্তানদের কী হবে, স্বামীর কী হবে? আমার ১৩ বছরের একটি নাতনি রয়েছে, নাতির বয়স মাত্র পাঁচ। ও নিজের স্বামী এবং সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে। কে ওর সন্তানদের খেয়াল রাখবে!"

    স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, অঞ্জুকে ফিরিয়ে আনার জন্য কি তাঁর বাবা সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন ? গয়া প্রসাদ থমাস জানান, এই ধরনের কোনও আবেদন তিনি করবেন না। মেয়ের উপর রাগে-ক্ষোভে প্রায় কান্না জড়ানো গলায় তিনি বলেন, "আমি প্রার্থনা করছি, মেয়ের যেন ওখানে মৃত্যু হয়।"

    তিনি আরও বলেন, "আমি জানি না মেয়ে কী ভাবে পাসপোর্ট, ভিসা পেল।" তিনি আরও জানান, কোনও রকম বেআইনি কাজের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত নন। অঞ্জুর দেশ ছাড়ার পরেই একাধিক গঞ্জনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। শুধু তাই নয়, যে কোনও তদন্তের জন্য প্রস্তুত তাঁর পরিবার, জানান এই প্রবীণ।
  • Link to this news (এই সময়)