• বিষ্ণুপুরের স্কুলে তালা প্রধানশিক্ষিকার
    বর্তমান | ২৭ জুলাই ২০২৩
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: হস্টেলে কাজ করার পারিশ্রমিক চাওয়া নিয়ে বুধবার বিষ্ণুপুর শিবদাস সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা ও প্রধান শিক্ষিকার মধ্যে তুমুল বাক বিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়।  দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে তর্ক বিতর্ক চলে। উত্তেজক পরিস্থিতির আঁচ যাতে বাইরে না ছড়ায় তার জন্য স্কুলের গেট ভিতর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাতে বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি অভিজিৎ সিংহ স্কুলের ভিতরে আটকে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিস আসে। ভিতরের পরিস্থিতি জানার জন্য পুলিস দীর্ঘক্ষণ ধরে আর্জি জানালেও গেট খোলা হয়নি। পরে বিষ্ণুপুর থানার আইসি ও মহকুমা বিদ্যালয় পরিদর্শক যাওয়ার পর একটি ছোট গেট খোলা হয়। ওই পরিস্থিতিতে অভিভাবকরাও স্কুলের বাইরে ভিড় জমান। স্কুলের ভিতরের পরিস্থিতি জানতে না পারায় তাঁরা চিন্তিত হয়ে পড়েন।

    পরিচালন কমিটির সভাপতি বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর গরিব মেয়েরা হস্টেল পরিষ্কার করার কাজ করেছেন। তার পারিশ্রমিক চাইতে এসেছিলেন। টাকার পরিমাণ নিয়ে মতভেদ হওয়ায় উভয়ের মধ্যে বচসা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে বাকবিতণ্ডা চলে। পরিস্থিতি জানতে আমি বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এনিয়ে শীঘ্রই পরিচালন কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। হিসেব করে পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হবে।  

    বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর শিবদাস সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য একটি হস্টেল রয়েছে। সেটি শহরের সত্যপীরতলায় অবস্থিত। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পাঁচজন মহিলা হস্টেল পরিষ্কারের কাজ করেন। কয়েকমাস ধরে হস্টেল বন্ধ রয়েছে। মহিলাদের অভিযোগ, হস্টেল বন্ধ থাকলেও তাঁদের নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু, তাঁদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি। 

    স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিক্ষোভকারী মহিলারা বলেন, হস্টেল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রতি মাসে ন’হাজার টাকা দেওয়া হয়। আমরা পাঁচজন মহিলা তা ভাগাভাগি করে নিই। কয়েকমাস ধরে হস্টেল বন্ধ থাকলেও আমরা নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছি। ১৪ মাসের পারিশ্রমিক বকেয়া রয়েছে। সেটাই আমরা চাইতে এদিন বিদ্যালয়ে এসেছিলাম। কিন্তু, প্রধান শিক্ষিকা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তার প্রতিবাদ করলে আমাদের হেনস্তা করা হয়। 

    বিষ্ণুপুর শিবদাস সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা কুণ্ডু বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রকৃত পাওনা এদিন মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, হস্টেল বন্ধ থাকার সময়কালেরও তাঁরা পারিশ্রমিক চাইছেন। আমি বলেছি, শিক্ষাদপ্তরের অনুমোদন পেলে তবেই তা দেওয়া সম্ভব। কিন্তু, ওঁরা তা শুনতে চাইছিলেন না। আমাকে গালিগালাজ করেন। এনিয়ে পরিচালন কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)