• বিজেপির রাজ্যস্তরে রদবদলের জল্পনা উস্কে দিলেন স্বয়ং সুকান্ত
    বর্তমান | ২৭ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: পঞ্চায়েতে প্রায় ১১ হাজার আসনে জয়। এই তত্ত্ব সামনে রাখলেও, দলের সংগঠন নিয়ে লেজেগোবরে বিজেপি। সেই ব্যর্থতার ছবি এতটাই সঙ্গীন যে, লোকসভা নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি সাংগঠনিক রদবদলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। মণ্ডল স্তরে ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দলের অভ্যন্তরেই প্রশ্ন উঠেছিল, নির্বাচনে ভরাডুবির দায় নিচুতলার কর্মীদের উপর চাপিয়ে শুধুমাত্র তাঁদের কেন বলির পাঁঠা করা হচ্ছে? সম্ভবত সেই ক্ষোভ সামাল দিতেই আসরে নামতে বাধ্য হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার নয়াদিল্লিতে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে দলের মণ্ডল স্তরে রদবদল চলছে। এরপর জেলাস্তরে পরিবর্তন হবে। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে পরবর্তী ক্ষেত্রে বিজেপির রাজ্যস্তরেও রদবদল হতে পারে।’

    রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরিখে বঙ্গ বিজেপির হাল দেখে কেন্দ্রীয় পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় নেতামন্ত্রীদের বাংলায় পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে বাদল অধিবেশন শেষ হওয়া পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে চাইছে না তারা। সংসদের অধিবেশন চলাকালীনই ‘মিশন বেঙ্গল’ নামে দলীয় কর্মসূচি শুরু করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। জানা যাচ্ছে, শনিবারই রাজ্যে যেতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর। আগামী মাসে রাজ্যে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সম্ভাব্য বঙ্গ সফরের সূচি তৈরি হচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়েরও। পরপর তিন হেভিওয়েটের এহেন বঙ্গ সফর উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, মঙ্গলবার গভীর রাতে অমিত শাহের সরকারি বাসভবনে বৈঠক করেছেন সুকান্তবাবুরা। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল এবং মঙ্গল পান্ডেও। জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকে ফের বাংলায় ৩৫টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা সুকান্তবাবুদের সামনে রেখেছেন অমিত শাহ। 

    দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা যত স্পষ্ট হচ্ছে, তত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনার রাস্তা বেছে নিচ্ছে বিজেপি। সেইমতোই মোদি বাংলায় পঞ্চায়েত-সন্ত্রাস নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধোনা করেছে গেরুয়া শিবির। বুধবার জেপি নাড্ডাকে তথ্য অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট পেশ করে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, হামলা-সন্ত্রাস নিয়ে যাবতীয় ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইকে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোটের আবহে রাজ্যে যত বোমা পাওয়া গিয়েছে কিংবা বিস্ফোরণ হয়েছে, তার তদন্ত করুক এনআইএ। ২৬ পাতার রিপোর্টে ওই মর্মেই সুপারিশ করা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)