• ৯ রাজ্যের উপকূলে ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ, বাংলার মডেল নিল কেন্দ্র
    বর্তমান | ২৭ জুলাই ২০২৩
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বনদপ্তরের সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার। পরিবেশ রক্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ লাগানোর উদ্যোগকেই স্বীকৃতি জানানো হয়েছে। তারই ফলস্বরূপ গোটা দেশে উপকূলীয় এলাকায় ন’টি রাজ্যে ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছ লাগানোর কাজে বাংলার মডেল অনুসরণ করা হবে। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই খবর জানিয়ে বলেছেন,  ২০০ কোটি টাকা খরচে গোটা দেশে এই কাজটি হবে, প্রকল্পটির নাম ‘মিষ্টি’। গুজরাত উপকূল থেকে শুরু করে ওড়িশা উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত অংশে মিশন মুডে এই কাজটি রূপায়ণ করা হবে।  জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কয়েক বছর আগে উম-পুন ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের উপকূলে সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বনদপ্তর সুন্দরবন এলাকায় কয়েক কোটি ম্যানগ্রোভ চারা পোঁতার কর্মসূচি নেয়। এই উদ্যোগে যুক্ত করা হয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে। সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয় সেই কর্মসূচি। গোটা দেশে এবার সেই পশ্চিমবঙ্গ মডেলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে যুক্ত করে ম্যানগ্রোভ লাগানোর কাজ করা হবে। 

    মন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন রাজ্যজুড়ে শ্বেত ও রক্ত চন্দন গাছের চারা লাগানোর বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ৬০ লক্ষ চন্দন গাছের চারা ভিন রাজ্য থেকে নিয়ে এসেছে বনদপ্তর।  বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় চন্দন গাছ লাগিয়ে সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে। কলকাতায় রেড রোডের দু’ধারে চন্দন গাছ লাগানোর বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বনদপ্তরের প্রকল্প রূপায়ণের জন্য জাপানি ঋণ দানকারী সংস্থা এবার ৬০০ কোটি টাকা দিচ্ছে। 

    বিধানসভায় একটি প্রস্তাবের উপর আলোচনার সময় বনমন্ত্রী জানান, ই-অকশনের মাধ্যমে কাঠ বিক্রি হওয়ায় সরকারের আয় বেড়েছে। এই খাতে চলতি বছরে সরকারের আয় এখনও প্রায় ৭৪ কোটি টাকা।  স্থানীয় মানুষদের নিয়ে গঠিত ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি পেয়েছে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। বন উন্নয়ন নিগম টাকা পেয়েছে কাঠ বিক্রি করে। মধু বিক্রি করে আয় হয়েছে ৯৪ কোটি টাকা। অসম থেকে লরিতে আসা কাঠ আটক করে তা নিলামে বিক্রি করে ২২০ কোটি টাকা আয় হয়েছে সরকারের। অসম থেকে সড়কপথে কাঠ আনা বেআইনি। সড়কপথে কাঠ আনা বন্ধ করতে ট্রাক বা লরি পরীক্ষার জন্য আলিপুরদুয়ারে অসম সীমান্তের দুটি জায়গায় এক্স-রে মেশিন বসানো হচ্ছে। আসবাবপত্র উৎপাদনের জন্য বনদপ্তর কলকাতা, দুর্গাপুর ও শিলিগুড়িতে  কারখানা করেছে। -ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)