• Quran Burning Latest Update : ব্যবস্থা না নিলে চরম শাস্তি দেব, কোরান পোড়ানো নিয়ে হুমকি হেজবোল্লাহর
    এই সময় | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • পবিত্র কোরান পোড়ানো নিয়ে সরকার ব্যবস্থা না নিলে মুসলিমদেরই শাস্তি দিতে হবে। এমন শিক্ষা দেওয়া হবে, যা আগামী কয়েক দশকে ভুলতে পারবে না। নাম না করে এবার সুইডেনকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী হেজবোল্লাহর। যা ইউরোপে মুসলিম শরণার্থীদের হিংসার আগুনকে নতুন ইন্ধন দেবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

    শনিবার লেবাননের রাজধানী বেইরুটে মহরম পালনের সময় ভিডিয়ো বার্তা দেয় হেজবোল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লা। সেখানেই ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো নিয়ে সুইডনকে খোলা চ্য়ালেঞ্জ করে সে।

    পাশাপাশি এই ইস্যুতে ইসলামীয় দেশগুলিকে একত্রিত হয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানায় এই শিয়া জঙ্গি নেতা। গতকালের ভিডিয়ো বার্তায় নাসরুল্লার গলায় আগাগোড়া ছিল হুমকির সুর। তার কথায়, "আমরা বাগদাদে হতে চলা Organization of Islamic Cooperation বা OIC-র বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছি। সোমবারের ওই বৈঠকে ইতিবাচক কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমাদেরই শাস্তি দিতে হবে। পবিত্র কোরানের অবমাননা কখনই মেনে নেব না।" উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই একটি মসজিদের সামনে পবিত্র কোরান পোড়ানোর অনুমতি দেয় সুইডেন সরকার। এর পরই উত্তর ইউরোপের দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন শরণার্থী মুসলিমরা।

    শরণার্থীদের এই ভূমিকা মোটেই ভালো চোখে দেখছে না সুইডেন। তাঁদের দাবি এই ভাবে বিক্ষোভের নামে ইউরোপের দেশগুলিকে দখলের খেলায় নেমেছে একাধিক কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠন। শুধু তাই নয়, এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি করে কোরান পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সুইডিশ সরকার।

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, সুইডেনে ফের কোরান পোড়ানো হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। ইউরোপের দেশটির উপর সেক্ষেত্রে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে এই ইস্যুতে মুখ খুলেছে সুইডেন সরকার। এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পুলিশ নেবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

    চলতি মাসেই শরণার্থী বিক্ষোভে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় ফ্রান্সে। পুলিশের গুলিতে এক নাবালকের মৃত্য়ুকে কেন্দ্রে করে শুরু হয় ব্যাপক হিংসা। ফ্রান্সের বিভিন্ন জায়গায় পুড়িয়ে দেওয়া হয় একের পর এক গাড়ি। লুঠ হয় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে শুরু করে একাধিক দোকান। এমনকি প্যারিস শহরের মেয়রের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় বিক্ষাভকারীরা। ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। ইউরোপের দেশগুলির দাবি, জোর করে ইসলামীয় কট্টরবাদ সমাজে ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।

    আর এই কাজে দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে শরণার্থীদের।
  • Link to this news (এই সময়)