• Digha Dheu Sagar : দিঘার 'ঢেউ সাগরে' কি বেআইনি নির্মাণ
    এই সময় | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • এই সময়: দিঘায় বিনোদনের নতুন ঠিকানা হয়েছে ‘ঢেউ সাগর’। রোজ হাজারও মানুষ ভিড় করেন সমুদ্র সৈকতের ওই বিনোদন পার্কে। অভিযোগ উঠেছে, রাজ্য সরকারের তৈরি ওই বিনোদন পার্ক তৈরিতে উপকূল-এলাকায় নির্মাণ সংক্রান্ত আইন মানা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে জাতীয় পরিবেশ আদালতে (এনজিটি) মামলা হয়েছে। মামলার শুনানিতে রাজ্যের দেওয়া তথ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত।

    রাজ্য দাবি করেছিল, কোস্টাল রেগুলেশন জ়োন-টু (সিআরজে়ড-২)-এর মধ্যে কোনও নির্মাণকাজ হয়নি। আর উপকূল ঘেঁষে যে নির্মাণ হয়েছে, তা সবই অস্থায়ী। কিন্তু আদালতে জমা পড়া নথিতে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের বক্তব্য ঠিক নয়। উপকূল আইন ভাঙা হলে, সেই নির্মাণ ভেঙে ফেলারই কথা। সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে আদালত কমিটি তৈরি করে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।

    দিঘায় উপকূল আইন ভেঙে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে এনজিটি-তে মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলার শুনানি চলছে এনজিটি’র পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চে। অন্য নির্মাণের পাশাপাশি অভিযোগ ছিল ঢেউ সাগর পার্ক তৈরি নিয়েও। রাজ্যের তরফে শুনানিতে জানানো হয়, ওই পার্ক নির্মাণে পরিবেশের কোনও ক্ষতি হয়নি।

    সিআরজে়ড-২ এলাকাতেও কোনও নির্মাণ হয়নি। পার্কে কোনও স্থায়ী নির্মাণ নেই। এই তথ্যের পালটা হলফনামা জমা দেন সুভাষ। তিনি একাধিক ছবি পেশ করেছেন। তাতে ২০১৬ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বেশ কিছু উপগ্রহ-চিত্রও রয়েছে।

    তাতে দেখা যাচ্ছে, ঢেউ সাগর ও অন্য নির্মাণের জন্যে নির্বিচারে ঝাউবন ধ্বংস করা হয়েছে। ঢেউ সাগরে কংক্রিটের স্থায়ী রেস্তোরাঁ, মঞ্চ এবং আবাসগৃহও তৈরি হয়েছে । এই হলফনামার পরেই গত বৃহস্পতিবার এনজিটি’র পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চের বিচারপতি বি অমিত স্থালেকর এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য অরুণকুমার বর্মা নির্দেশ দেন, একটি কমিটি তৈরি করে বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে। কারণ, যে ছবি আদালতে জমা পড়েছে, তা ভয়ঙ্কর। তা সত্যি হলে নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে।

    আদালত যে কমিটি তৈরি করেছে, তাতে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক জন বিজ্ঞানী, ন্যাশনাল সেন্টার ফর সাসটেনেবল কোস্টাল জ়োন ম্যানেজমেন্ট, চেন্নাইয়ের এক অভিজ্ঞ বিজ্ঞানী, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কোস্টাল জ়োন ম্যানেজমেন্টের প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বা তাঁর প্রতিনিধি (তবে তা যেন অতিরিক্ত জেলাশাসক পদের নীচে না হয়) থাকবেন। তাঁরা ওই এলাকার ছবি-সহ রিপোর্ট জমা দেবেন আদালতে।
  • Link to this news (এই সময়)