• World’s Least Visited Nation: ছবির মতো সাজানো দ্বীপে আসে না মানুষ, কোন অভিশাপে গোটা দেশ গিলছে সমুদ্র?
    এই সময় | ৩০ জুলাই ২০২৩
  • সাগরের বিপুল জলরাশি একটু একটু করে গিলে খাচ্ছে গোটা একটা দ্বীপ। প্রতিদিন ভাঙছে পাড়। ফলে দিনকে দিন ছোট হচ্ছে স্থলভাগের আয়তন। এই অবস্থা চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হবে গোটা একটা দেশ। গোটা বিশ্বে যার পরিচিতি সবচেয়ে কম মানুষের পা পড়া রাষ্ট্র হিসেবে।

    পশ্চিম মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরে হাওয়াই ও অস্ট্রেলিয়ার মাঝে প্রবাল প্রাচীরে গড়া ছোট্ট দেশ টুভালু। বর্তমানে ভয়ংকর অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে এই দ্বীপরাষ্ট্র। উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ের ধাক্কায় ধীরে ধীর ডুবতে বসেছে ওই প্রবাল প্রাচীর। মোট ৯টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এই দেশ।

    কিছুদিনের মধ্যেই যা বিলীন হবে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। গবেষকদের দাবি, প্রতি বছর ওই অংশে ৩.৯ শতাংশ হারে বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরের জলস্তর। প্রবাল প্রাচীরের এই দ্বীপপুঞ্জে যেটুকু অংশে মানুষ বাস করেন, সেগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র দুই মিটার উঁচু । উল্লেখ্য, ওই প্রবাল প্রাচীরের আকৃতি কতকটা আংটির মতো। যাকে আবার ঘিরে রেখেছে একটি উপসাগর। গত কয়েক বছরে টুভালুর দু'টি দ্বীপ প্রায় ডোবার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছে গিয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার মানুষ থাকেন এই দ্বীপগুলিতে। প্রশান্ত মহাসাগরে কোনও ঘূর্ণিঝড় উঠলেই আশঙ্কে ঘুম ওড়ে তাঁদের। কারণ, দ্বীপের চারদিক দিক দিয়েই বয়ে যায় ঝড়। চালায় ব্যাপক ধ্বংসলীলা।

    প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকটেও পড়েছে টুভালুর বাসিন্দারা। একটা সময় অস্ট্রেলিয়া সংলগ্ন এই দ্বীপ ছিল বেড়াতে যাওয়ার সেরা ডেস্টিনেশন। মূলত হানিমুন কাপলরাই ঘুরতে আসতেন এখানে। এছাড়া এখানে চলত বিভিন্ন সিনেমার শ্যুটিংও।

    কিন্তু এখন আর পর্যটকদের সেভাবে পা পড়ে না ওশিয়ানিয়া মহাদেশের এই দ্বীপরাষ্ট্রে। ভ্রমণ পিপাসুদের অধিকাংশই টুভালুর নামই জানেন না। ফলে পর্যটন ব্যবসায় মন্দা দেখা দেওয়ায় অস্ট্রেলিয়া সংলগ্ন এই দেশের আর্থিক সংকট বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, প্রবাল প্রাচীরে ঘেরা ছোট্ট এই দ্বীপে রয়েছে একটি বিমানবন্দরও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি আক্রমণ রুখতে রানওয়ে তৈরি করে মার্কিন বায়ুসেনা। সালটা ছিল ১৯৪৩। পরবর্তীকালে যাত্রী পরিবহণের জন্য সেটিকে ব্যবহার করা শুরু করে টুভালু প্রশাসন। বিমানবন্দরের নাম রাখা হয় ফুনাফুটি।

    বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই বিমানবন্দরই একমাত্র ভরসা টুভালুবাসীর। বর্তমানে একটিমাত্র সংস্থার উড়ান চলে এখানে। সেটা হল ফিজি এয়ারওয়েজ। সপ্তাহে তিনবার ফিজির রাজধানী সুভা থেকে টুভালুতে উড়ে যায় এটিআর ৭২-৬০০ বিমানটি।

    মোট ৭২ জন যাত্রী বহনের ক্ষমতা রয়েছে এই উড়ানের।
  • Link to this news (এই সময়)